সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা আর কত প্রাণ কেড়ে নিবে

স্টাফ রিপোর্টার, পিরোজপুর ও নাজিরপুর প্রতিনিধি
  ২৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

সরু রাস্তা, ড্রাইভারের অদক্ষতা, মাদক সেবন এবং নিদ্রার অভাব, প্রতিযোগিতামূলক ও ভারট্রাকিংয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে ক্রমন্নয়েই বেড়ে চলছে পিরোজপুর-নাজিরপুর টু ঢাকা মহাসড়কে দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা যেন নিত্য দিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। পরিবারের একটি তাজা প্রাণ সড়ক দুর্ঘটনায় চলে যাওয়া যে কত কষ্টের তা একমাত্র তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনই বোঝে।

গত ১৮ মার্চ পাথঘাটা থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ পরিবহণ পিরোজপুরের শংকরপাশা নামক স্থানে ১৭ জনযাত্রী বহন করা টমটমকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে ৩ জন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যায়। ১৯ মার্চ পিরোজপুর-নাজিরপুরসড়কের কদমতলার পাইকবাড়ি এলাকায় নাজনীন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন স্বামী আলমগীর হোসেন মোলস্না ও মেয়ে রাফিয়া আক্তার (৩)। তিনি নাজিরপুর উপজেলার বুইচাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। ২২ মার্চ নাজিরপুরের দীঘিরজান তেল পাম্পের সামনে পিকআপভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানের ভিতরে উঠে যায়। এতে গুরুত্বর আহত হয় ড্রাইভার। ২১ মার্চ নাজিরপুরের চিথলিয়া গাঙ্গের আগা নামক স্থানে রাতে কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে ড্রাইভারসহ হেল্পার আহত হন। ২১ মার্চ পিরোজপুরের ব্রাহ্মমনকাঠীতে যাত্রীবাহী একটি লোকাল বাসনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে পড়েযায় এতে কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়। একই দিন মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা গাড়ি উল্টে ২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ছোট-খাটো দুর্ঘটনা এই মহাসড়কের নিত্যদিনের সঙ্গী। এভাবেই দিন দিন ভারী হচ্ছে সড়কে মৃতু্যর মিছিল। স্বজনদের আহাজারি শুনতে পথচারীরা যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সাইফুর রহমান চৌধুরী জানান, 'আমরা প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে সরু রাস্তা, ড্রাইভারের অদক্ষতা এবং নিদ্রার অভাব, প্রতিযোগিতামূলক ওভার টেকিংয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়িচালানো এবং মহাসড়কে ফ্রি স্টাইলে চলাচল এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছি। নিরাপদ সড়কের জন্য জেলা শহর কেন্দ্রীক গাড়ি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে। মহাসড়কগুলো সাধারণত হাইওয়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের এ রুটে হাইওয়ে পুলিশ না থাকা এবং ট্রাফিক জনবল কম থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের একটি মাত্র স্প্রিটগান থাকলেও তা বিকল। আমরা দ্রম্নতগামী গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্প্রিটগান আবেদন করেছি। এটি পেলে দ্রম্নতগামী গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ রোধে ব্যবস্থা নিতে পারব এবং আশা করি দুর্ঘটনা কমবে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুর্ঘটনা রোধে বাস মালিক সমিতির সভাপতি, পেশাদার ড্রাইভার এবং মালিক পক্ষদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা চলমান রাখছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে