সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিলুপ্তির পথে শায়েস্তাগঞ্জের একমাত্র পশু হাসপাতাল

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৩ মে ২০২৩, ০০:০০

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শত বছরের পুরানো একমাত্র পশু হাসপাতালটি এখন বিলুপ্তির পথে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার একমাত্র পশু চিকিৎসা কেন্দ্রটি সংস্কারের অভাবে দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, ১৯০৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে শায়েস্তাগঞ্জ ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়চর তালুকহড়াইয়ে ২৫ শতক ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পশু চিকিৎসা কেন্দ্রটি। শত বছরের অধিক হলেও হাসপাতালটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। পৌরসভার উন্নয়ন হলেও এই হাসপাতালের উন্নয়ন হচ্ছে না আজও। শায়েস্তাগঞ্জ থানা, পৌরসভা ও নুরপুর ইউনিয়ন একমাত্র পশু চিকিৎসা কেন্দ্র এই হাসপাতালটি। হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের প্রায় কয়েকটি এলাকা শায়েস্তাগঞ্জ, নিজামপুর, নুরপুর, লস্করপুর, শানখলা, উবাহাটা, ইউনিয়নে গরু-ছাগল, মহিষ বিভিন্ন ধরনের পশু রোগাক্রান্ত হলে এই হাসপাতালেই একমাত্র ভরসা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালটির করুণ অবস্থা। চারদিকে বাউন্ডারী থাকলেও মূল ভবনের চিহ্নই নেই। রয়েছে একটি ভাঙা টিনশেট ঘর। আগের পুরানো বিল্ডিংটির কোনো অস্তিত্ব নেই। টিনশেট ঘরে রয়েছে একটি ভাঙা আলমারী, একটি টেবিল, দুইটি চেয়ার, পর্যাপ্ত ওষুধ নেই এই হাসপাতালে। লোকবল ও ঘরের অভাবে চিকিৎসা প্রদান করা যাচ্ছে না। দুইজন ডাক্তারসহ মোট ১১ জন লোক এই হাসপাতালে থাকার কথা। কিন্তু সর্ব সাকল্যে আছে একজন ছিল, তিনিও বছর খানেক আগে ইন্তেকাল করেছেন। বর্তমানে হবিগঞ্জ থেকে একজন এসে দায়িত্ব পালন করছেন। তাও আবার সবসময় তাকে পাওয়া যায় না। শুধু পশুর কৃত্রিম প্রজনন ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। পশু চিকিৎসার ওষুধ রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলেই ভাঙা টিনের ঘরের ভেতরে পানি পড়ে ভিজে যায়। যে কোনো সময় টিনের ঘরটি ভেঙে যেতে পারে।

হাসপাতালটির বাউন্ডারির পূর্বদিক এখন পৌরসভার ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। আশপাশের যত ময়লা আবর্জনা ওই বাউন্ডারীর ভেতরে ফেলা হচ্ছে। এদিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। এলাকাবাসীর দাবি হাসপাতালটি সংস্কার করে পশু চিকিৎসা উপযোগী করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে