আজকের যায়যায়দিন

দিন যাচ্ছে, মানুষের কর্ম ব্যস্ততা বাড়ছে। সেই সঙ্গে সব অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হচ্ছে। মিরসরাই পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তায় ভবনের নির্মাণসামগ্রী রেখে কাজ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী। দুর্ঘটনার আতঙ্কে ভীতসন্ত্রস্ত পথচারীরা। কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ইট-পাথর-বালু ফেলে রাখছেন ভবন মালিকরা। আইন অনুযায়ী রাস্তায় ইট, বালু ও পাথরসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী রাখা বেআইনি। কিন্তু তারপরও এ বিধান কেউ মানছেন না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌরসদরের দূরপালস্নার বাস কাউন্টার সংলগ্ন একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজে ইট, বালু ও পাথর রাস্তার উপর মজুত করে রেখেছে। ফুটপাতে ঢালাই মেশিন রেখে চলছে কাজ। ইটের সুড়কি ফুটপাত বেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পর্যন্ত মজুত করে রাখা হয়েছে। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল এবং পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ফুটপাতটিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আবার রডের আঘাত পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে নির্মাণ কাজের পাশ দিয়ে চলার সময়। ফলে যেকোনো সময় এখানে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে রিফাত রহমান, সাজু, শাহাদাত, টিপুসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ইদানীং বিভিন্ন রাস্তায় ভবন নির্মাণসামগ্রী রেখে রাস্তা ছোট করে ফেলেছে। আর সামগ্রী রাখার কারণে রাস্তায় বেশির ভাগ অংশে বালু ও পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। মাঝে মধ্যেই বালু ও পাথরের কারণে অনেকেই মোটর সাইকেল থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছেন।

এ বিষয়ে নির্মাণাধীন ভবনের মালিক আবদুর রহমান ইশান বলেন, 'এটি করা উচিত হয়নি। আমাদের ভুল হয়েছে। অন্য জায়গা না থাকায় আমরা নিরুপায় হয়ে এভাবে রাস্তার উপর কাজ করছি। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করাচ্ছি যাতে কোনো সমস্যা না হয়।'

খরা ও দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল-গুটি

মিরসরাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহির উদ্দিন বলেন, 'পৌরসভার অনুমতি ছাড়া দিনে দুপুরে ফুটপাত বন্ধ রেখে এভাবে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ একটি দন্ডনীয় অপরাধ। আমি ভবনের মালিককে বলার পরও তারা কাজ বন্ধ করেনি। উল্টো এসি ল্যান্ড মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন এমনটা জানিয়েছে আমাকে।'

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, 'পৌরসদরের ওই নির্মাণাধীন ভবন কর্তৃপক্ষকে এর আগেও সতর্ক করেছিলাম। এখন অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'