রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

কালিয়াকৈরে কারখানাসহ বাসাবাড়ির বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ১৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিল্প-কারখানা ও বসতবাড়ির আবর্জনায় পরিপূর্ণ বিল -যাযাদি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শিল্প-কারখানাসহ বাসাবাড়ির বর্জ্যে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। উপজেলাটি শিল্প অধু্যষিত হওয়ায় এখানে কয়েক লাখ লোকের বসবাস। বিশেষ করে পৌরসভায় সাত লাখ লোক বাস করে। পৌরসভায় স্থায়ী বসবাসরত লোকজনের প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া বর্জ্য পৌর কর্তৃপক্ষ ফেলে দিচ্ছে বিলের ফসলি জমি, বনের জমিসহ যত্রতত্র রাস্তার আশপাশে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক লাখ লোক এখানে অস্থায়ী বসবাস করে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় চাকরি করেন। তাদের বাসাবাড়ির ফেলে দেওয়া বর্জ্যে কালিয়াকৈরের পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বর্জ্যযুক্ত পানির কারণে বিশেষ করে সফিপুর মাটিকাটা এলাকায় মাকেশ বিল, কালিয়াদহ বিলের মাছসহ নানা প্রজাতির জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে। এলাকার বসবাসরত জনগণ রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। ইতোমধ্যে কালিয়াকৈরের তিন ভাগের এক ভাগ জমি বর্জ্যের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।

সরেজমিনে মাঝুখান, মাটিকাটা, সফিপুর, কালিয়াদহ বিল, তুরাগ নদী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শিল্পাঞ্চলের হাজার হাজার ঘরবাড়ির এবং শিল্প-কারখানা থেকে ফেলে দেওয়া পস্নাস্টিকের বোতল, পলিথিনসহ নানা বর্জ্যে বিলের পানির ওপর স্তর বেঁধে আছে। ওই স্তরের মধ্যে পরিত্যক্ত পস্নস্টিকের বোতল, পলিথিন, মোটা কাগজ, খাবারের প্যাকেটসহ বিভিন্ন কারখানার অব্যবহৃত হার্ডওয়ারি যন্ত্রপাতি রয়েছে। এসব স্তরের ওপর দিয়ে বাচ্চারা হেঁটে গেলেও পানিতে তলিয়ে যাবে না। এসব বর্জ্য দূষিত করছে বিলের পানিসহ এলাকার শত শত একর ফসলি জমি।

স্থানীয় ও বিলের পাশে বসবাসরত জাহাঙ্গীর আলম জানান, পচা বর্জ্যের দুর্গন্ধে বিলের আশপাশের বাড়িঘরে বসবাসসহ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করার সময় নাকে রুমাল দিয়ে হাঁটতে হয়। এতে পরিবেশের বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষাসহ পরিবেশ রক্ষার জন্য উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বাসাবাড়িসহ কারখানার বর্জ্য ফসলি জমিতে না ফেলে নির্দিষ্ট একটি পরিত্যক্ত জমিতে ফেলা উচিত। এত ফসলি জমি নষ্ট হবে না।

এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, বসবাসকারীরা যেন খোলামেলা বা যত্রতত্র ময়লা না ফেলে সে জন্য জনসচেতনামূলক প্রচারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা এ আদেশ অমান্য করে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে