সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ওষুধ সংকট

নাঙ্গলকোট (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

কুমিলস্নার নাঙ্গলকোট ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ওষুধ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪-৫ শতাধিক রোগী, জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ৭০-৮০ জন ডায়রিয়া, জ্বর, ডেঙ্গুসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীরা ওষুধ না পেয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনছেন। গত কয়েকমাস থেকে এ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে উপজেলার হতদরিদ্র অসুস্থ রোগীরা।

জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জন্য ৭০ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্য ৪৮ প্রকারের ওষুধ সংকট রয়েছে। জ্বর ও ব্যথানাশক ৬ প্রকারের ওষুধের মধ্যে প্যারাসিটামসহ কোনো ওষুধ সাপস্নাই নাই। এন্টিবায়োটিক ১২ প্রকারের ওষুধের মধ্যে ৯ প্রকারের ঔষধ সংকট। এন্টিহিস্টামিন ৭ প্রকারের ওষুধের মধ্যে সবগুলো সরবরাহ বন্ধ। গ্যাস্টিকের ৬ প্রকারের ওষুধ বিতরণ বন্ধ। প্রেসার এর ১০ প্রকারের ৩ প্রকার ওষুধ সংকট। সিরাপের ১১ প্রকারের মধ্যে ৬ প্রকার ওষুধ সংকট, ভিটামিন ৬ প্রকারের ওষুধের মধ্যে ৫ প্রকার সংকট, অন্যান্য ১০ প্রকারের ওষুধের মধ্যে ৭ প্রকার ওষুধ সংকট। এছাড়া জরুরি বিভাগে স্যালাইন, খাওয়ার স্যালাইন, ইনজেকশন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ওষুধ সংকটের কারণে হাসপাতালের বাহিরে ফার্মেসি থেকে বেশি দামে কিনতে হয়।

হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা বাঙ্গড্ডা গ্রামের রোগির মা মাহমুদা বেগম (৫২) বলেন, আমার মেয়েকে গত বৃহস্পতিবার জ্বর, মাথা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাই। গত তিন দিনে স্যালাইন, প্যারাসিটামলসহ সকল ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে আনি। এছাড়া হাসপাতালের ওয়াশ বেসিং নষ্ট, বাথরুমের বেহালদশা।

উপজেলার আলীপুর গ্রামের মোমেনা খাতুন (৬০) বলেন, আমি বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাই ওষুধ লিখে দেয়, ওষুধ কিনতে ফার্মেসি যাই ১ হাজার টাকা দাম আসে, আমি গরিব মানুষ টাকা নাই কেমনে ওষুধ কিনি।

হাসপাতালের আরএমপি ডাক্তার আরিফুর রহমান বলেন, 'জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নেন। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হন। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪শ' থেকে ৫শ' শতাধিক রোগী চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার দেবদাস বলেন, 'হাসপাতালে তেমন ওষুধ সংকট নেই। কয়েক হাজার রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নেন, কিছু ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। ৭ তারিখের মধ্যে সেগুলো এলে সংকট কেটে যাবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে