সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় কাজী শাহেদ আহমেদকে চিরবিদায়

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
কাজী শাহেদ আহমেদ

অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক, জেমকন গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক কাজী শাহেদ আহমেদকে অশ্রম্নসিক্ত চিরবিদায় জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তি, নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গুণগ্রাহীরা।

মঙ্গলবার বাদ আসর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে (আজাদ মসজিদ) তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে। এ সময় কাজী শাহেদ আহমেদের তিন ছেলেসহ আত্মীয়-স্বজন এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদে (আজাদ মসজিদ) তৃতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কাজী শাহেদ আহমেদের। জানাজা পরিচালনা করেন আজাদ মসজিদের ইমাম মাওলানা ফাহিমুর রহমান।

জানাজায় অংশ নেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, বিসিবির পরিচালক ঈসমাইল হায়দার মলিস্নক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, খালিদ মাহমুদ সুজন, মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন এবং জেমকন গ্রম্নপের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সাধারণ মুসলিস্নরা।

জানাজা শুরু হওয়ার আগে কাজী শাহেদ আহমেদের বড় ছেলে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। এর আগে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কের বায়তুল আমান মসজিদে কাজী শাহেদ আহমেদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানাজা পরিচালনা করেন বায়তুল আমান মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জামাল।

কাজী শাহেদ আহমেদের প্রথম জানাজার পর তার মরদেহ নেওয়া হয় ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষ কাজী শাহেদ আহমেদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে ধানমন্ডি থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় গুলশানের আজাদ মসজিদে (গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ)।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কাজী শাহেদ আহমেদ। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর ৯ মাস। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক। কাজী শাহেদ আহমেদের ছোট ছেলে ইনাম আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক।

আমাদের টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী শাহেদ আহমেদের মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংগঠক ও বিশিষ্ট মিডিয়া উদ্যোক্তা কাজী শাহেদ আহমেদের মৃতু্যতে আমি শোকাভিভূত। কাজী শাহেদ আহমেদ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইনচার্জ পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। '৭৫-পরবর্তী দুঃসময়ে ঢাকা আবাহনীর হাল ধরেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক। সাহিত্য অঙ্গনেও ছিল তার অবাধ পদচারণা।'

উলেস্নখ্য, কাজী শাহেদ আহমেদের তিন সন্তান কাজী নাবিল, কাজী আনিস ও কাজী ইনাম তিনজনই আবাহনী ক্লাবের পরিচালক। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে দুই সন্তান ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজী নাবিল বাফুফে সহ-সভাপতি পদে আছেন ২০০৮ সাল থেকে। ২০১৩ সাল থেকে কাজী ইনাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে