সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উজানের পাহারী ঢল ও ভাটির বৃষ্টিপাতে যমুনা নদীতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সারিয়াকান্দির কাছে মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে। মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে যমুনা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে বাড়ি ঘর আবাদী জমি বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় অর্ধ শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বন্যায় ৭ ইউনিয়নের কমপক্ষে ২৫টি চরের ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।

সারিয়াকান্দিস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উজানের পাহাড়ী ঢলের কারণে সপ্তাহ খানেক পূর্ব থেকে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তবে মঙ্গলবার উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আহসান হাবীব বলেন, 'সকাল ৯ টায় বিপদ সীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধির সঙ্গে নদীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে। ভাঙন এলাকায় বালি ভরতি জিও ব্যাগ ও বালি ভর্তি জিও পাইপ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ভাঙন পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।'

স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গনের কারণে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ফকির পাড়া, টিটুর মোড়, কামালপুর ও ইছামারা গ্রামে ভাঙনে বসবাসরত পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তাছাড়ও প্রায় ৫শ' মিটার ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের স্পার ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এ কারণে অর্ধ শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ি নদী গর্ভে চলে যায়। ঘর বাড়ি হারিয়ে পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। খাদ্য কষ্টেও পড়েছেন তারা। সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বন্যা ও ভাঙন কবলিত ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি দেড়শ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।

স্থানীয় লালন মন্ডল বলেন, 'নদী ভাঙনে গৃহহীন লোকেরা খোলা আকাশে নিচে খাদ্য কষ্ট নিয়ে বসবাস করছেন।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, 'বন্যা কবলিত লোকজনের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে