সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টি হলেই পাহাড়ের পানিতে ডুবে থাকে চিকনদন্ডী ভূমি অফিস

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলাধীন চিকনদন্ডী ভূমি অফিস অল্প বৃষ্টিতেই পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে ডুবে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলতে থাকলেও এখনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে যেমন কাজের ব্যাঘাত ঘটছে কর্মকর্তাদের তেমনি চরম দুর্ভোগের শিকার হয় সেবা গ্রহীতারা।

মঙ্গলবার সরেজমিন জানা গেছে, ২০০৪ সালে প্রয়াত হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম চার শতকের ওপর নির্মিত ভবনটির উদ্বোধন করেন। বেশ কয়েক বছর কোনো সমস্যা না হলেও ধীরে ধীরে পানি নিষ্কাশনের পথ ভরাট হওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি পানিতে ডুবে যাচ্ছে চিকদন্ডী ভূমি অফিস। শনিবার মধ্য রাতের বৃষ্টিতেও পশ্চিমের পাহাড়ের পানি ভূমি অফিসে ঢুকে পড়ে। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসের ভেতর সাড়ে চার ফুট পানি অবস্থান করে। একই সঙ্গে বড়দিঘিরপাড়স্থ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কেও কোমর অব্দি পানি ওঠে। খবর পেয়ে পানি ডিঙিয়ে ঝুঁকি নিয়ে রোববার সকালে কর্মকর্তারা কর্মস্থলে গিয়ে অফিসের যাবতীয় আর এস,পি এস ও বি এস জরিপের রেকর্ড নিরাপদে সরিয়ে নেন। তবে কয়েক বছর ধরেই অফিস শেষে রেকর্ডসহ যাবতীয় রেজিস্টার উঁচু জায়গায় সংরক্ষণ করায় কোনো ক্ষতি না হলেও অফিসের আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে। বছর বছর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গেল বছর তিন ফুট উচ্চতায় রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করে গেলেও বর্তমানে প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় তা সংরক্ষণ করতে হয়।

সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আশরাফ উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি হলেই পাহাড়ের পানি নেমে অফিসে ঢুকে পড়ে। পানির ওপর দাঁড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিতে হয়। ড্রেনের ওপর হওয়ায় একদিকে মশার উপদ্রব, অন্যদিকে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার ছাদের সিলিং থেকে সাড়ে চার ফুট লম্বা বিষাক্ত একটি সাপ অফিস সহায়কের গায়ের ওপর পড়ে। দ্রম্নত একটা ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি। আমাদের দায়িত্ব রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করা যদি পানিতে একটা রেকর্ড বইও নষ্ট হয় তাহলে সাতটি মৌজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আবু রায়হান বলেন, ইতোমধ্যে দ্বিতল ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিন গিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন, নিয়মনুযায়ী একটা দ্বিতল ভবনের জন্য কমপক্ষে ১০ শতক জায়গার প্রয়োজন হয়। সেখানে মাত্র চার শতক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে