সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরির কাজ করছেন কৃষক -যাযাদি

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যা পরবর্তী চরাঞ্চলের চাষিরা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে তাদের এ ব্যস্ততা। বিশেষ করে মরিচের ভালো দামের বাজার ধরতে তারা আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সদ্য শেষ হয়ে গেল চরাঞ্চলে বন্যা। পড়েছে পলি মাটি, হয়েছে জমি উর্বর। চরের এ জমিতে হরেক রকমের ফসল ফলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। চরাঞ্চলে চাষিরা উঁচু জমিতে তৈরি করছেন হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল মরিচের বীজতলা। তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ততা বেশি। এরই মধ্যে অনেক চাষির বীজতলায় মরিচের গাছ গজিয়েছে। দেখা দিয়েছে তাদের নতুন স্বপ্ন।

চরের চাষিরা বলছেন, এক কেজি হাইব্রিড মরিচের বীজের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোম্পানির রকম ভেদে মরিচের বীজ দামের এ তারতম্য। বাজার থেকে মরিচের বীজ কিনে, বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা।

উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল চরের মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ৫৭ শতক জমিতে হাইব্রিড মরিচের বীজতলা তৈরি করেছেন। এতে তার ৭ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। নিজের জমিতে চারা গাছ লাগাবেন। এছাড়াও বীজতলা থেকে বাজারে চারা গাছ শতকরা হারে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয়ের আশা করছেন তিনি। গত ২ বছর ধরে তিনি আধুনিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড মরিচের বীজতলা তৈরি ও চারা গাছ বিক্রি করে আসছেন।

একই ইউনিয়নের বেড়া পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সাজিত শেখ বলেন, তিনি এ মৌসুমে চার বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ করবেন। তার উঁচু জমি নেই, তাই বাজারের চারা গাছের উপর নির্ভর করতে হয়। মরিচ চাষের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কুদরত আলী বলেন, চরাঞ্চলের চাষিরা এরই মধ্যে প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের বীজতলা তৈরি করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর চরাঞ্চলের চাষিরা নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে