সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর হয়রানির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তিন বছর আগে দেওয়া তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর হয়রানি ও অত্যাচারে অতিষ্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কামরুজ্জামানের পরিবারসহ এলাকাবাসী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।

জানা গেছে, দক্ষিণ বাহাগিলী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে কামরুজ্জামানের সঙ্গে পাশের ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা মোলস্নাপাড়া গ্রামের মশিউর রহমানের মেয়ে দক্ষিণ বাহাগিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাহজুবা উম্মে লাবণীর ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাসের মাথায় শুরু হয় সাংসারিক কলহ। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বেপরোয়া চলাফেরা, শ্বশুর-শাশুড়িকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এমনকি মারপিট করার অভিযোগও ওঠে। এসব বিষয়ে স্বামী কামরুজ্জামান নিষেধ করলে ওই নারী নিজেই ফৌজদারি অপরাধের ঘটনা সৃষ্টি করে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবু্যনালে মিথ্যা মামলা করেন। মামলাটি ৪ বছর চলার পর বিচারক বিবাদীদের নির্দোষ সাবস্ত করে খারিজ করে দেন। এর আগে মামলা চলমান অবস্থায় কামরুজ্জামান লাবণীকে তালাক দেন। তালাকের পরবর্তী সময় ওই নারী কামরুজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে তাকেসহ তার বাবা-মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এছাড়াও গত ২৯ নভেম্বর উপজেলা মডেল মসজিদে ইমাম পদে চাকরি নির্বাচিত হওয়ার আগ মুহূর্তে ঠোঁট ফাটা ঘটনার সৃষ্টি করে নিয়োগ কমিটিকে দেখিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমকে ভন্ডুল করেছেন। কামরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, 'এসব ঘটনায় আমি থানায় ও ইউএনও'র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।'

তবে এ ব্যাপারে মাহজুবা উম্মে লাবণীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন- 'অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে