সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলছড়িতে বিনামূল্যে পাকা ঘর পেয়ে খুশি ২০০ পরিবার

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া বিনামূল্যে পাকা ঘর পেয়ে খুশি হয়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উপকারভোগী গৃহহীনরা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সালে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসন। ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ৭৫টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৬০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৩৩০টি, চতুর্থ পর্যায়ে ২৭৩টি এবং পঞ্চম পর্যায়ে ২০০টি পরিবার সর্বমোট ১২৩৮টি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয় ফুলছড়ি উপজেলা প্রশাসন। প্রাথমিক পর্যায়ে তৃণমূল পর্যায়ে উপকারভোগী নির্বাচন করে উপজেলা প্রশাসন ধাপে ধাপে এই ঘরগুলো নির্মাণ করে উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেয়। উপকারভোগী গৃহহীনরা পাকা ঘর পেয়ে অত্যন্ত খুশি।

ফুলছড়ি সদর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের গাবগাছী গ্রামের উপকারভোগী নূরজাহান, এন্তাজ আলী, খনচাপাড়া গ্রামের কালাম মিয়া জানান, 'পাকা ঘরে বসবাস করব এটা জীবনে চিন্তা করিনি। সারাজীবন অন্যের আশ্রয়ে, তো কখনো খোলা আকাশের নিচে ছিলাম। কোনো খরচ ছাড়াই পাকা ঘর পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি।'

খনচাপাড়া গ্রামের দিনমজুর হানিফ মিয়া কোনো রকম টাকা-পয়সা ছাড়াই ঘর পেয়ে ফুলছড়ি ইউএনও'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উলেস্নখ্য, ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা নদীগর্ভে এবং বাসিন্দারা চরাঞ্চলে বসবাস করেন। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার ও নিরাপদ বাসস্থানের অভাবে চরাঞ্চলের জনগণকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। এরূপ পরিস্থিতিতে কোনো রকম খরচ ছাড়াই বিনামূল্যে পাকা ঘর পেয়ে উপকারভোগীরা শুধু খুশিই নন। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এসব পাকা ঘর নির্মাণ করে কোনো খরচ ছাড়াই বিনামূল্যে উপকারভোগীদের হস্তান্তর করা সরকারের একটি বিরাট সাফল্য। ফুলছড়ি উপজেলায় গৃহহীন যাতে কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি সরকার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে