আজকের যায়যায়দিন

পর্যটন শহর কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের পর থেকে গত ২৮ দিনে কক্সবাজার এক্সপ্রেস থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভ্যাটসহ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় করেছে। তন্মধ্যে অনলাইন থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা।

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।

স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী বলেন, 'প্রথম মাসে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে অনলাইনে ও অপলাইনে এসি ও ননএসির ২৮ হাজার ৬২০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর এ থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।'

তিনি আরও জানান, 'প্রতিদিন ২ লাখ মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য চার্জ করেন। অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে টিকিট বেশি বিক্রি হয়। অনলাইন থেকে আয়ের ১ কোটি ৮ লাখের বেশি টাকা আসে। তাই অনলাইনে পছন্দের সিট বুকিং দিয়ে ট্রেন সেবা পাচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিদিন ২ লাখ লোক কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য অনলাইন সার্ভারে ক্লিক করে। আগামী ১ জানুযারি থেকে নতুন আরও দুটি ট্রেন সংযুক্ত করার প্রক্রিযা চলমান রয়েছে।'

খরা ও দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুল-গুটি

\হরেলওয়ে সূত্র জানায়, কক্সবাজার এক্সপ্রেসে মোট ২০টি কোচ রয়েছে। যার আসন রয়েছে ১ হাজার ১০টি। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৪৬৬ ও এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।'

উলেস্নখ্য, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।