শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বসন্তবরণ ও ভ্যালেন্টাইন ঘিরে পর্যাপ্ত সরবরাহ, তবুও উত্তপ্ত ফুলের বাজার

খুলনা অফিস
  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বসন্তবরণ ও ভ্যালেন্টাইন ঘিরে পর্যাপ্ত সরবরাহ, তবুও উত্তপ্ত ফুলের বাজার

খুলনায় বসন্তবরণ ও ভ্যালেন্টাইন ডে ঘিরে বাড়তি চাহিদায় ফুলের দাম আকশছোঁয়া। পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে, তবুও উত্তপ্ত ফুলের বাজার। আর তাই ক্রেতারা হতাশ!

ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ও ১৪ ফেব্রম্নয়ারি ভালোবাসার মানুষকে ফুল দিয়ে বরণ করতে নগরীর ফুল বাজারে উৎসবের রং লেগেছে। বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের উৎসবে নগরীর ফুলের বাজার এখন চাঙ্গা।

তবে পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও ফুলের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। দাম বাড়তির অভিযোগ করেছেন ফুল কিনতে আসা ক্রেতারা। বিপরীতে ফুল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরের বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ করে পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রম্নয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি ও নানা দিবস পালনে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণে অন্য সময়ের তুলনায় ফুল কিনতে বাড়তি দাম গুনতে হয়। তবে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে দেশব্যাপী ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে যশোরের গদখালী পাইকারী ফুলের বাজারেই বর্তমানে স্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন গদখালীতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গস্নাডিয়াস, জারবেরাসহ প্রতিটি ফুলের দাম প্রায় দ্বিগুণ।

সোমবার খুলনা নগরীর বেনিবাবু রোডের ফুলের বিপণিবিতান, বয়রা মোড়ের মাধবী পুষ্প কুঞ্জ, দৌলতপুরের মীম গার্ডেন, পলক পুষ্পমালয়, মাধুরী পুষ্প, জুঁই গার্ডেনসহ স্থানীয় এলাকার ফুলের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইন দিবস উপলক্ষে সাজ-সজ্জা ও ফুল কেনাবেচা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা, দোকানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। প্রতিটি ফুল দোকানের সামনেই আনাগোনা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

বেশিরভাগ ফুল আমদানি করা হয়েছে যশোরের ঝিকরগাছার গদখালী হতে। বর্তমানে বেচাকেনার চাপ কিছুটা কম থাকলেও ২ দিন পর চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, সোমবার গোলাপ ১০০ পিস ২৫০০ টাকায়, রজনীগন্ধা ১০০ পিস ১৫০০ টাকায়, জারবেরা প্রতি পিস ২০ টাকা, মলিস্নকা প্রতি পিস ৫ টাকা, গস্নাডিয়াস প্রতি পিস ২০ টাকা, চায়না গোলাপ প্রতি পিস ৭০ টাকা, গাঁদা ফুল হাজার ১০০০ টাকা দরে কিনেছেন।

অথচ দুই সপ্তাহ আগে গোলাপ ১০০ পিস ১০০০ হতে ১২০০ টাকা, রজনীগন্ধা ১০০ পিস ১০০ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ১২ টাকা, চন্দ্রমলিস্নকা প্রতি পিস ২ টাকা, গাদা হাজার ৩০০ টাকা, গস্নাডিয়াস ১০০ পিস ৭০০-৮০০ টাকা দরে কিনেছিলেন। বর্তমানে গোলাপ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা, চায়না গোলাপ ১০০-১২০ টাকা, রজনীগন্ধা প্রতি স্টিক ২০-২৫ টাকা, গস্নাডিয়াস প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, জারবেরা ৪০টাকা, চন্দ্রমলিস্নকা প্রতি পিস ১০ টাকা, গাদা হাজার ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

মীম গার্ডেনের ফুল ব্যবসায়ী খোকন যায়যায়দিনকে জানান, গদখালীতে ফুলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চাহিদার কারণে প্রতিটি ফুলের দাম বহুগুণে বেড়েছে। তাছাড়া ১০০ পিসের আঁটি বলে পাঠিয়ে দিলে, আঁটিতে ফুল কম পাওয়া যায়। দূর থেকে অনেক লাভ মনে হয়, আসলে পুঁজি খাটিয়ে আহামরি লাভ পাওয়া যায় না। পলক পুষ্পালয়ের ফুল বিক্রেতা জানান, প্রতি বছরেই বিশেষ দিনগুলোতে ফুলের দাম অন্য সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। বাড়তি দামে ফুল কিনে আনতে হয় গদখালী থেকে। এবার টাকা দিয়েও ফুল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ক্রেতা সামলাতে বাড়তি দামেই পাইকারি বাজার হতে ফুল কিনতে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে