সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানেও পালিত হয় মাতৃভাষা দিবস : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মাতৃভাষার জন্য পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্র এত আন্দোলন করে নাই, রক্ত দেয় নাই। সেই জন্য ১৯৯৬ সালে সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, 'তার প্রচেষ্টায় ২১শে ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানিরা।

যে পাকিস্তানিরা আমাদের গুলি করে হত্যা করেছিল, সেই পাকিস্তানেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়'।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ছয় দফা আন্দোলনের সূচনা চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে জানিয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের স্বাধীনতায় চট্টগ্রামের ভূমিকা রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম প্রচার হয় এই চট্টগ্রামের বেতার থেকে। ছয় দফা আন্দোলনের সূচনা হয়েছে এই চট্টগ্রাম থেকে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও চট্টগ্রামের অবদান অনেক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন ৫৬ ভাগ মানুষের ভাষাকে তারা (পাকিস্তান) স্বীকৃতি দিতে চায়নি, তখনই বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন এদেশে পাকিস্তানি শোষণ চলবে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবে, তিনি ১৯৪৮ সালেই ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৬'র ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভু্যত্থান ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে