বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
ফুলবাড়ীর আঁখিরা গণহত্যা দিবস আজ

তিন বছরেও শেষ হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
তিন বছরেও শেষ হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

আজ ১৭ এপ্রিল ফুলবাড়ী আঁখিরা গণহত্যা দিবন। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আঁখিরা পুকুরপাড়ে খান সেনাদের হাতে নির্মমভাবে হত্যা কান্ডের শিকার হয় দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু। সেই ভয়ংকর স্মৃতি নিয়ে এখনো আছেন ভাগ্যের জোরে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন।

১৯৭১ সালে আজকের এদিনে মুক্তিযুদ্ধে ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য যাওয়ার পথে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে পাকিস্তানি খানসেনারা উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বারাইহাট সংলগ্ন আঁখিরা নামক স্থানের পুকুরপাড়ে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে।

সেই শহীদদের স্মরণে উপজেলার আঁখিরা বদ্ধভূমিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫৭ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু হলেও, আজও তা শেষ হয়নি। নেই ঠিকাদারের খোঁজও। ফলে স্মৃতিস্তম্ভটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধারাও শ্রদ্ধা নিবেদনসহ কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ তারা আঁখিরায় গিয়েছিল, কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় সেখানে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না। এদিকে ঠিকাদারেরও দেখা পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ তিন বছরেও স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিতে পারেনি। তিনি স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ কাজ দ্রম্নত শেষ করে হস্তান্তরের দাবি জানান।

স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার বাদলের সঙ্গে একাধিকার ফোন কলে যোগযোগ করলেও তিনি ফোন কলটি গ্রহণ করেননি।

গণপূর্ত বিভাগ দিনাজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুলস্নাহ আল মামুনের দাবি স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ইতোমধ্যেই। হস্তান্তরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জনবল না থাকায় এখনো হস্তান্তর সম্ভব হচ্ছে না। তবে শিঘ্রই আলোচনার মাধ্যমে হস্তান্তর সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মীর মো. আল কামহ্‌ তমাল বলেন, স্মৃতিস্তম্ভের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি এবং বুঝিয়ে দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন এরপর থেকে গণপূর্ত বিভাগ তার সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি। তবে দিবসটি উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে একটি দোয়ার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। বীরমুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাইলে সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে