পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এবং ২০২৩ ডধঃবৎ জবংড়ঁৎপবং এৎড়ঁঢ়, ডড়ৎষফ ইধহশ-এর যৌথ উদ্যোগে 'শিল্প খাতে পানি ব্যবহার নীতি' শীর্ষক এক কর্মশালা বুধবার রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত পানি ভবনের মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সভাপতিত্ব করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। এছাড়া গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন।
কর্মশালায় কি-নোট উপস্থাপন করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংস্থার প্রধান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিল্প সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ২০৩০ বিশ্ব ব্যাংকের ডধঃবৎ জবংড়ঁৎপবং এৎড়ঁঢ়-এর প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, 'ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্প খাতে পানি ব্যবহার নীতিটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। রুপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিলক্ষ্য অর্জনের অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পানি সমৃদ্ধ শিল্পায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে শিল্প খাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে।'
সভাপতির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উলেস্নখ করেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেছেন, যার অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পানি খাতে বিভিন্ন সেক্টর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে টেকসই উদ্ভাবনী ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প খাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রম্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ কর্মশালার গেস্ট অব অনার মাইকেল জন শুভেচ্ছা জানিয়ে এ রকম একটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, পানি সুরক্ষিত টেকসই শিল্পোন্নয়ন, ঝউএ ৬ (বিশুদ্ধ পানি) বা (ওহফঁংঃৎু, ওহহড়াধঃরড়হ ্ ওহভৎধংঃৎঁপঃঁৎব) ধহফ ১২ (দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন) ২০৩০ ডজঈ-এ মাত্রায় সংযুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।
প্রস্তাবিত নীতিমালার ওপর অধ্যাপক ডক্টর কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ, ডক্টর জিলস্নুর রহমান, ডীন, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ডক্টর চৌধুরী এম. সারোয়ার জাহান, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব ও খনিজ বিদ্যা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ডক্টর মো. শাহিনুর ইসলাম, অধ্যাপক, কেমিকৌশল বিভাগ, বুয়েট, ডক্টর মোহাম্মদ আবেদ হোসেন, অধ্যাপক, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান, বুয়েট এবং মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সমন্বয় অধিশাখা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলোচনায় অংশ নেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি