সরকারের উপযোগী কার্যক্রমের ফলে বাজারে চাল ও আটার দাম কমছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাইন উদ্দিন। বুধবার দুপুরে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বাজারে উর্ধ্বগতির কারণে দেশে চালের দাম বেড়েছিল উলেস্নখ করে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, 'চালের দাম বৃদ্ধি রোধে আমদানির ক্ষেত্রে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। খাদ্য বিভাগ এরই মধ্যে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি সম্পন্ন করেছে। যার মধ্যে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল চলে এসেছে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে সেগুলো খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ও ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।'
মাইন উদ্দিন বলেন, 'চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রয় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মহানগর ও জেলার উপজেলা পর্যায়ে খোলা বাজারে (ওএমএস) দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে চাল বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। এর ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধারে প্রতি কেজি চাল ১ টাকা ও আটা ৩ টাকা হারে দাম কমেছে। গত ৯ জানুয়ারি রাজশাহী অঞ্চলের বাজারে মোটা চালের দর ছিল প্রতি কেজি ৪৯ টাকা ৫২ পয়সা। এ সপ্তাহে মোটা চালের বাজার দর প্রতি কেজি ৪৮ টাকা ৫২ পয়সা।'
চাল-আটার দাম ও মজুদ জানাতে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আঞ্চলিক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।