শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে সেফ হোম থেকে পালালেন তিন তরুণী ও এক কিশোরী

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

ফরিদপুরের 'মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র' থেকে পালিয়ে গেছেন তিন তরুণী ও এক কিশোরী। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও পালিয়ে যাওয়া ওই নিবাসীদের কোনো সন্ধান মেলেনি।

পালিয়ে যাওয়া ওই তিন তরুণীর একজন রাজবাড়ী আদালত থেকে আসা, বয়স ২১ বছর। আরেকজন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে আসা, বয়স ২০ বছর এবং অপরজন গোপালগঞ্জ থেকে আসা, বয়স ১৮ বছর। শেষজন শরীয়তপুর থেকে আসা কিশোরীর বয়স ১৭ বছর। তারা সবাই কিশোরী বয়সে ভবঘুরে হিসেবে উলিস্নখিত জেলা ও উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে এ সেফ হোমে আসে। তাদের মধ্যে গোয়ালন্দ থেকে আসা তরুণী এখানে ২০১৫ সাল থেকে ছিলেন। বাকিরাও তিন কিংবা চার বছর ধরে ছিলেন। তাদের আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় আদালত তাদের সেফ হোমে প্রেরণ করেন।

সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত এ সেফ হোমটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা মহলস্নার এলাকায় সোহরাওয়ার্দী লেকপাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।

ওই সেফ হোম সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে মোট ৭২ জন নিবাসী ছিলেন। এর মধ্য থেকে চারজন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী দুই আনসার সদস্য সালমা বেগম (২৬) ও বিউটি আক্তারের (২৭) ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে গ্রিল ভেঙে সীমানাপ্রাচীর টপকে পালিয়ে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই সেফ হোমের উপতত্ত্বাবধায়ক রুমানা আক্তার বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত দুই আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকার কারণে পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া ওই নিবাসীদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি সেফ হোম কর্তৃপক্ষও কাজ করছে।

ফরিদপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আলী আহসান বলেন, সেফ হোমে জেলখানার মতো ১৮ ফুট উঁচু সীমানাপ্রাচীর ও মোটা গ্রিল ছিল না। গ্রিল ছিল সরু এবং সীমানাপ্রাচীর ছিল ছয় ফুট উঁচু। তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া নিবাসীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ফরিদপুর সেফ হোম থেকে কোনো নিবাসীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই সময় যে দুই আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া তরুণী ও কিশোরীদের উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় তলস্নাশি চালানো হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে