আজকের যায়যায়দিন

পরপর দুবার জাতীয় সংসদের সদস্য হয়েছেন তিনি। অথচ ছিল না মাথা গোঁজার মতো নিজস্ব কোনো আবাস। থাকতেন ভাড়া বাসায়। শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঠাঁই নিলেন। বুঝে নিলেন ওই ঘর ও জমির দলিলাদি। বলছি, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়ার কথা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে উঠেছেন তিনি। শনিবার গফরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল ঘরের কাগজপত্র সাবেক এই সংসদ সদস্যের হাতে তুলে দেন।

এনামুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির হয়ে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য থাকার সময় রাজধানী ঢাকায় থাকতেন। পরে স্ত্রী-সন্তানরা দেশের বাইরে চলে যান। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়লে তিনি গফরগাঁওয়ে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। দিনে দিনে তার আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তানরা ঢাকায় ও দেশের বাইরে বসবাস করছেন। আর তিনি গফরগাঁও পৌর শহরে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।

গফরগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল বলেন, এনামুল হক জজ মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য। বর্তমানে নিজের বাড়ি না থাকায় তিনি সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর পেয়েছেন।

গফরগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, 'ব্যক্তিগত নানা কারণে সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের আর্থিক অবস্থা খারাপ। গফরগাঁও পৌর শহরের শিলাশী এলাকায় একটি

ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক / দুই কার্গো এলএনজি, সার ও ডাল কিনবে সরকার

বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকেন। বিষয়টি জানার পর গফরগাঁওয়ের বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ নির্দেশ দিয়েছিলেন তার জন্য একটি ঘর বরাদ্দ করতে। ঘরটি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফেব্রম্নয়ারির শুরু থেকেই তিনি ওই ঘরে বসবাস করবেন।'

শনিবার উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ ঘরের চাবি তুলে দেন এনামুল হকের হাতে। ঘরের চাবি পেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।