শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অক্সিজেট উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে বুয়েট

যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত অক্সিজেট যন্ত্রটি সীমিত আকারে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌফিক হাসান বলেন, 'তিন ধাপে পরীক্ষায় সফল হওয়ায় ঔষধ প্রশাসন আমাদের প্রাথমিকভাবে ২০০ ইউনিট উৎপাদন করার অনুমোদন দিয়েছে। এজন্য বেশকিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেসব মেনে সব ডিভাইসটি (অক্সিজেট যন্ত্র) তৈরি করতে হবে। হাসপাতালে এসব ডিভাইস ব্যবহারে কি ফলাফল হলো, তা নিয়ে তিন মাস পর আমাদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রিপোর্ট ভালো হলে চাইলে এরপর আরও বেশি উৎপাদনের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।'

এই শিক্ষক বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন ট্রায়ালে অক্সিজেট সফলভাবে কাজ করলেও এখনো এটির মার্কেট তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এটি উৎপাদনে তেমন কেউ এগিয়ে আসছে না। সবার অক্সিজেট প্রয়োজন হবে না। প্রতি হাসপাতালে যদি ১০টি করে এই ডিভাইস বসানো হয়, তবে সারা দেশে ৫ থেকে ৬ হাজার বসালে আর হয়তো প্রয়োজন হবে না। সেজন্য তেমনভাবে কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, 'সমাজসেবা হিসেবে আমরা অনেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছি। ঔষধ প্রশাসনে অনুমোদনে জটিলতা থাকায় তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ কারণে আমরা হয়তো ২০০টি তৈরির পর কেউ এগিয়ে না এলে আর নাও বানাতে পারি।' এগুলো তারা আগামী দুই মাসের মধ্যে তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতালে স্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।'

ড. তৌফিক হাসান বলেন, আমরা চাই অক্সিজেনের উচ্চমূল্য যেন চিকিৎসার অন্তরায় না হয়। অক্সিজেটের মাধ্যমে অত্যন্ত স্বল্প খরচে উচ্চ চাপের অক্সিজেন উৎপাদন করা যাবে।

উলেস্নখ্য, প্রায় ১০ মাস গবেষণার পর এ যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি দল। নাম দেওয়া হয় অক্সিজেট। অক্সিজেটের পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করেন ড. তৌফিক হাসান। যন্ত্রটি সহজে ব্যবহার ও বহনযোগ্য। এটি পরিচালনায় বিদু্যতেরও প্রয়োজন হয় না। গত মে মাসে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অক্সিজেটের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে