বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
টাঙ্গাইলের মধুপুর

মধুপুরে অসময়ে তরমুজ চাষে চমক!

ম মো. নজরুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল)
  ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
মধুপুরে অসময়ে তরমুজ চাষে চমক!

টাঙ্গাইলের মধুপুরে অসময়ে তরমুজ চাষ করে চমক দেখিয়েছেন সাবেক সেনা সদস্য মাসুদ হাসান। তাও আবার বারোমাসি মাচায় ঝুলানো হলুদ তরমুজ। মধুপুর বনাঞ্চলের ভবানীটেকি গ্রামে সাত বিঘা জমিতে তিনি নতুন প্রজাতির তরমুজ চাষ করেন। ফলন ভালো হওয়ায় কয়েকগুণ লাভ এবং তরমুজের বাণিজ্যিক চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন মাসুদ।

জানা যায়, দেড় মাস আগে পাহাড়ি জমিতে রোপণ করা গাছে এখন তরমুজ ঝুলছে। বর্তমানে প্রতিটির ওজন ৫০০-১৫০০ গ্রাম। পরিপক্ব একেকটি তরমুজের ওজন হবে সাড়ে ৩-৪ কেজি। আগে-পরে পৃথক সময় রোপণ করা হয়েছে তরমুজ। যাতে একসঙ্গে বিক্রির উপযোগী না হয়।

মাসুদ হাসান জানান, 'চাকরি থেকে অবসরে এসে পরিকল্পনা করে বারোমাসি হলুদ লেন ফিই এফ-১ জাতের তরমুজ চাষ শুরু করি। প্রতি শতাংশ জমিতে খরচ হয় ২৫০০-৩০০০ হাজার টাকা। তরমুজ পরিপক্ব হতে সময় লাগে ৫৫-৬০ দিন। এ ধরনের তরমুজের দাম প্রায় ৭০-৮০ টাকা কেজি। আমার সাত বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকা। উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি হতে পারে ১২-১৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করে লাভ হতে পারে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা।

স্থানীয় বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান, মাসুদ হাসানকে আধুনিক তরমুজ চাষে উপজেলা অফিস থেকে পরামর্শ ও অন্যান্য সহযোগিতা করা হয়েছে। তাকে দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও তরমুজ চাষে উদ্যোগী হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম জানান, অসময় উচ্চ মূল্যের তরমুজ চাষে কৃষক লাভবান হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে, যাতে আগামীতে স্থানীয় কৃষকরাও এই জাতীয় তরমুজ চাষে এগিয়ে আসে।

\হ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে