শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ পটুয়াখালী মুক্ত দিবস

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযোদ্ধারা পটুয়াখালী জেলাকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করে লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। সে দিন পটুয়াখালী শহরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রথম এবং পরে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তবে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছরেও জেলার মুক্তিযুদ্ধের এলাকাভিত্তিক ইতিহাস যেমন সংরক্ষণ করা হয়নি তেমনি জেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ও গণকবরগুলো সংস্কার করা হয়নি। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণের দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।

পটুয়াখালী ও বরগুনা অঞ্চলে যুদ্ধকালীন পাক হানাদার বাহিনীর দায়িত্বে থাকা মেজর নাদের পারভেজ ও তার সৈন্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে ৭ ডিসেম্বর রাতে পটুয়াখালী শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা শহরে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও পরে শিশুপার্ক মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

যুদ্ধকালীন পাক হানাদার বাহিনী শহরের জেলা কারাগারকে তাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করত। সে সময় কয়েকশ' নিরীহ মানুষকে হত্যা করে কারা অভ্যন্তরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। বর্তমানে কারাগারটি ব্যবহৃত হচ্ছে আনসার ব্যাটালিয়নের ক্যাম্প হিসেবে। আর জেলার বৃহৎ এই গণকবরটি এখনো অনেকটা অবহেলার মধ্যে পড়ে আছে।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এলাকাভিত্তিক ইতিহাস সংরক্ষণ না করায় অনেক ভুয়া ব্যক্তিও আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। তাদের দাপটে কোণঠাসা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস একত্র করে নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে হবে। দেশ মাতৃকার টানে যেসব মুক্তিযোদ্ধা জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন সেসব অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার সুচিকিৎসার পাশাপাশি জেলার বীরাঙ্গনা নারীদের ও দ্রম্নত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চায় জেলাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে