আজকের যায়যায়দিন

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, 'আমাদের দেশের তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো কারিকুলাম আমরা পুনর্বিবেচনা করছি। আমরা চাইছি সেখানে বিএ, বিএসসি, বিকম যারা পড়বে তারা সে কোর্সগুলোর মধ্যে আইসিটি পড়বে, ভাষা পড়বে এবং উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আরও যেসব বিষয় পড়া দরকার সেগুলো পড়বে।'

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'যেসব বিষয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থান হবে সেসব বিষয় তারা যেন পড়তে পারে। আমরা চাই সব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কারিকুলাম নিয়ে নতুন করে ভাবুক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল একাডেমিয়া লিংকেজ তৈরি করুক।'

তিনি আরও বলেন, 'যে অনার্স ডিগ্রি বা মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে পাস করে বের হবে সে যেনো কাজের জগতের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন করে পাস করে। তার যেন চাকরি পেতে সমস্যা না হয়। সে যদি উদ্যোক্তা হতে চায় তা হতে পারে। সেসব দক্ষতা নিয়ে যেন সে পাস করতে পারে।'

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, গজারিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এদিকে শুধু স্স্নোগান বা মুখে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হৃদয়ে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

দীপু মনি বলেন, আমরা অনেক সময় স্স্নোগাননির্ভর থাকি। অনেক স্স্নোগানেই হয়তো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথা বলি। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সেটা অনেক বেশি জরুরি, স্স্নোগানে বলার চাইতে অনেক বেশি জরুরি।

দীপু মনি বলেন, আমরা এগিয়েছি বহুদূর। এ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটি বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে, এ শ্রেষ্ঠ অর্জনকে আমরা ধরে রাখতে পারি। তার যে চেতনা সেটাকে যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। সেজন্যই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনের মধ্যে এটিকে ঢুকিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজী মো. দেলওয়ার হোসেন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল।