শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় প্রস্তুত চার লাখ ৩৩ হাজার গবাদি পশু

ম রুহুল আমিন, নওগাঁ
  ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁ জেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার গবাদিপশু। এদিকে, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার চাহিদার তুলনায় জেলার খামারগুলোতে পশুর সংখ্যা বেশি। ফলে কোরবানির জন্য পশুর সংকট হবে না।

এদিকে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে নওগাঁর 'পদ্মা' ও 'সেতু' নামে দু'টি বিশাল আকৃতির ষাঁড় গরু। জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ লিটন গরু দু'টির মালিক।

গরু দু'টির মধ্যে কালচে রঙের 'পদ্মার' ওজন ৩৩ মণ ও লালচে রঙের 'সেতুর' ওজন ৩০ মণ। ষাঁড় দু'টির দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে অনেকেই গরু দু'টি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে 'পদ্মা' ও 'সেতু'-কে কিনতে আসছেন ক্রেতারা। করছেন দামদরও।

জানা গেছে, পরিবারের ছোট শিশুরা গরু দু'টিকে 'ভুতু' আর 'জিজি' বলে ডাকতেন। সম্প্রতি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী শখ করে গরু দু'টির নাম রেখেছেন 'পদ্মা-সেতু'।

গরুর মালিক মামুনুর রশিদ লিটন বলেন, শখের বসে দুই বছর ৪ মাস আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হাট থেকে ৬ মাস বয়সের কালো রঙের ষাঁড় ৬০ হাজার এবং লাল রঙের ষাঁড় ৬৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। এরপর বাড়িতে নিজ সন্তানের মতো ষাঁড় দু'টিকে লালন-পালন করেন। কাঁচা ঘাস, বিচিকলা, গম, ধান, ভুট্টা, মাসকালাই, খেসারি কালাই, মসুর ডাল ভুসি দিয়ে নিজেই 'ব্যান্ড' তৈরি করে খাওয়ান। মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করেননি। প্রতিদিন গরু দু'টির জন্য ১৫শ' টাকা খরচ হয় লিটনের। কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ বছর ৪ মাসে সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা।

লিটন আরও বলেন, পদ্মার ওজন হবে ১৩শ' কেজি আর সেতুর ওজন হবে ১২শ' কেজি হবে। ষাঁড় দু'টির দাম হেঁকেছেন ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত গরু দু'টির দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। মনমতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করবেন। আর যদি ভালো দাম না পান তবে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান লিটন।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, 'ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নওগাঁ জেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে ৪ লাখ ৩৩ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশুর মধ্যে রয়েছে ষাঁড়, বলদ, গাভি, মহিষ ও ছাগল। এর মধ্যে শুধু গরুই ৬৭ হাজার। জেলায় প্রায় ২৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে। গত বছর ২ লাখ ২৫ হাজার কোরবানি হয়েছিল। এবারে জেলায় প্রায় ৩ লাখের বেশি কোরবানি হবে বলে ধারণা ধারণা করা হচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে