সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
টাঙ্গাইল-২

আওয়ামী লীগে কোন্দল ফুরফুরে মেজাজে বিএনপি

জোবায়েদ মলিস্নক বুলবুল
  ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল জেলার রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের হাওয়া বিরাজমান। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রবাদ পুরুষ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার পর জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। টাঙ্গাইলের প্রতিটি সংসদীয় আসনে এর প্রভাব পড়ছে। টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনও এর বাইরে নয়। ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ এ আসনে কোন্দলে জর্জরিত এবং বিএনপিতে একক প্রার্থী থাকায় দলটি ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, কর্মিসভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। পাশাপাশি যে যেমন পারছেন ক্লাব, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আর্থিক অনুদান দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। প্রত্যেক প্রার্থী দলের মধ্যে নিজস্ব বলয় (লোকবল) তৈরিতে ব্যস্ত থাকায় দলীয় কর্মসূচির চেয়ে নেতা কেন্দ্রিক কর্মসূচি নিয়ে বিভক্ত কর্মীরা। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ দলীয় তানভীর হাসান ছোট মনির। তিনি স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে হাইব্রিডদের কাছে টানছেন এবং প্রায় সব সময় উঠতি বয়সি তরুণদের নিয়ে চলাফেরা করে থাকেন। এ কারণে ত্যাগী নেতাকর্মী দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভেতরে ভেতরে একাট্টা। বর্তমান সংসদ সদস্যের বাইরে যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক তারা তাকেই একযোগে সমর্থন দেবেন এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। তবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সব প্রার্থীই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিচ্ছেন। এক প্রার্থী সমাবেশ আহ্বান করলে অপর প্রার্থীও একই স্থানে একই সময় সমাবেশ আহ্বান

করছেন। এ নিয়ে গোপালপুর ও ভূঞাপুরে কর্মীদের মধ্যে মাঝে মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে।

সম্প্রতি ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ গোপালপুরে কম্বল বিতরণ করতে গেলে বর্তমান সংসদ সদস্যের কর্মীরা তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ নিয়ে দুই পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করে একে অপরের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এর রেশ এখনো নেতাকর্মীদের মধ্যে বিদ্যমান।

\হগোপালপুর উপজেলার সাত ইউনিয়ন, এক পৌরসভা এবং ভূঞাপূর উপজেলার ছয় ইউনিয়ন, এক পৌরসভা নিয়ে গঠিত টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে কখনো কোনো একক দলের একাধিপত্য দেখা যায়নি। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, চারবার বিএনপি, একবার করে জাতীয় পার্টি ও জাসদের (সিরাজ) প্রার্থী জয় লাভ করেন।

১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. হাতেম আলী তালুকদার ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ পার্টির মো. হাতেম আলী খানকে পরাজিত করেন। ১৯৭৯ সালে বিএনপি প্রার্থী আফাজ উদ্দিন ফকির জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মো. হাতেম আলী তালুকদার। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামছুল হক তালুকদার ছানু আওয়ামী লীগের মো. হাতেম আলী তালুকদারকে পরাজিত করেন। ১৯৮৮ সালে নির্বাচিত হন জাসদের (সিরাজ) আ. মতিন হিরু। তিনি হারান জাতীয় পার্টির শামছুল হক তালুকদার ছানুকে।

এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সালাম পিন্টু আওয়ামী লীগের হাতেম আলী তালুকদারকে পরাজিত করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সালাম পিন্টু আবার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামানের কাছে।

২০০১ সালে বিএনপি পুনরুদ্ধার করে আসনটি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামানকে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন আব্দুস সালাম পিন্টু। তিনি পান এক লাখ ৫ হাজার ২৭৩ ভোট, আর খন্দকার আসাদুজ্জামান পান এক লাখ ২ হাজার ৯৯৯ ভোট।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পালস্না ঘুরে খন্দকার আসাদুজ্জামানের দিকে। দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। আব্দুস সালাম পিন্টু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে থাকায় তার ছোট ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। খন্দকার আসাদুজ্জামান (আওয়ামী লীগ) পান এক লাখ ৪৪ হাজার ৭১০ ভোট, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (বিএনপি) পান এক লাখ ৩ হাজার ৫০৯ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খন্দকার আসাদুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) আব্দুল আজিজের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন খন্দকার আসাদুজ্জামান। এতে খন্দকার আসাদুজ্জামান পান এক লাখ ৪০ হাজার ৭৫৯ ভোট এবং আব্দুল আজিজ পান ৪ হাজার ২৯৬ ভোট। খন্দকার আসাদুজ্জামান বয়সের ভারে ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরে দাঁড়ালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু তার বদলে জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও প্রবাস ফেরত ব্যবসায়ী তানভীর হাসান ছোট মনির দলীয় মনোনয়ন পান। বিএনপি প্রার্থী তৎকালীন যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে পরাজিত করে প্রবাসীদের মধ্যে প্রথম তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি নির্বাচিত হন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র দাবি করেছে- দলের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা, হাইব্রিডদের দলীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, অপেক্ষাকৃত তরুণ-কিশোর (যুবলীগ-ছাত্রলীগ) কর্মীদের মাধ্যম হয়ে এমপির সঙ্গে দেখা করা, উন্নয়ন কাজে স্থানীয় নেতাদের পরামর্শ না নেওয়া ও দলীয় ত্যাগীদের যুক্ত না করা, প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে অসদাচরণ, সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নেতাদের সঙ্গে যোগ না দেওয়া, গোপালপুর-ভূঞাপুরে সার্বক্ষণিক অবস্থান না করা ইত্যাদি নানা কারণে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী বর্তমান এমপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সাবেক এমপি খন্দকার আসাদুজ্জামানের ছেলে সিআইপি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় এ আসনের বিএনপির ক্ষমতাধর প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মৃতু্যদন্ডের আদেশ হওয়ায় এ আসনে বিএনপি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়। আসনটি পুনরুদ্ধারে তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রার্থী হচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি শামছুল হক তালুকদার ছানু একক প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এর আগেও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এবার আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন- দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগে তার অবদান ঈর্ষান্বিত। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে জমি কিনে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ঝাওয়াইল ও ধোপাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করেছেন। এছাড়া গোপালপুরের চরসোনামুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চরমোহাইল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা, লক্ষ্ণীপুর শেখ হাসিনা, চাটুতিয়া শেখ রেহানা ও আজগড়ায় শেখ রাসেলের নামে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গোপালপুর-ভূঞাপুরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে ১২ দফা ফিরিস্তি নিয়ে জনসাধারণের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু জানান, গোপালপুর-ভূঞাপুরের মানুষ একজন শিক্ষিত-সজ্জন ও ক্লিন ইমেজের মানুষকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। সে হিসেবে তিনি গণমানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং সব সময় মানুষের পাশে থেকেছেন। গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাকে দল মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এ আসনটি দলকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল মূলত একজন ব্যবসায়ী। বাবার সুনাম ধরে রাখতে তিনি টাঙ্গাইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। গোপালপুর-ভূঞাপুরের মানুষ নানা প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে বাবার সূত্র ধরেই তার কাছে যান। তিনি সাধ্যমতো তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। এলাকার সঙ্গে তিনি সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন।

ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। মহান স্বাধীনতার পর ভূঞাপুর উপজেলা থেকে কেউ এমপি নির্বাচিত হয়নি, বড় দলগুলো কাউকে মনোনয়নও দেয়নি। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে বিশ্বাস করেন। সে লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। সময়-অসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির টাঙ্গাইলের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি এমপি রানাসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আলোচিত নেতায় পরিণত হয়েছেন। এ কারণে তিনি গোপালপুর-ভূঞাপুরের যুবসমাজের কাছে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি গোপালপুর-ভূঞাপুরের উন্নয়নে সব সময় সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সামাজিক কর্মকান্ডে জনসাধারণের পাশে ছিলেন।

তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি জানান, গোপালপুর-ভূঞাপুরের সাধারণ মানুষ তাকে সন্তানের মতো গ্রহণ করেছে। তাদের পাশে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন ও বৃহৎ দল। এ দল থেকে অনেকেই মনোনয়ন চাইতে পারেন। তিনি বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন আমি তার পক্ষে কাজ করব। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে বিগত সময়ে গোপালপুর-ভূঞাপুরের যে উন্নয়ন করেছি তাতে আমিই দলীয় মনোনয়ন পাব বলে আশা করি।'

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন ও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবে। টাঙ্গাইল-২ আসনে এখন পর্যন্ত অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুই তাদের দলীয় প্রার্থী। তিনি নির্বাচন করতে না পারলে তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ওই আসনে নির্বাচন করবেন।

নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৩ হাজার ৩৯ জন এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৯ জন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে