আজকের যায়যায়দিন

পঞ্চগড়ে গুজব ছড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, কাদিয়ানিদের বাড়িঘর, দোকানপাটে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটকারীদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক; যারা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদেরই মহাপরিকল্পনারই অংশের

মধ্যে ছিল এ ঘটনা।

রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার আহম্মদনগর ও শালসিড়ি এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ও দোকানপাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

দেশে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে যেভাবে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই জঘন্য হামলার ঘটনার আগে থেকেই উসকানি ছড়ানো হয়েছে। বাঁশের কেলস্না কারা পরিচালনা করে সবাই জানেন। রুমিন ফারহানা, হারুনের ফেসবুক পেইজ থেকে উসকানি ছড়িয়ে এই হামলা করা হয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

তিনি বলেন, 'গুজব ছড়িয়ে এই হামলা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। এ ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করা হয়েছে।'

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সম্পাদক বলেন, 'গত ২-৪ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর যে নারকীয় ও পৈশাচিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা দলের পক্ষ থেকে সরেজমিন দেখতে এসেছি।'

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চিত্র দেখে তিনি এ ঘটনাটিকে পৈশাচিক ও নারকীয় ঘটনা বলে উলেস্নখ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'গন্ডগোল লাগিয়ে এই গন্ডগোল সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ইসলামের নামে এমন ঘটনা ইসলাম সমর্থন করে না। তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। তারা ইসলামেরও শত্রম্ন।'

তিনি বলেন, 'আমার দলের নেতাদেরও বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তারা পুলিশ বক্সে হামলা করে পুড়িয়ে দিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সও রক্ষা পায়নি। ডিসি, এসপি অফিস আক্রমণের পরিকল্পনায় ছিল।'

এছাড়া তথ্যমন্ত্রী বিকালে জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

রেলমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, নাঈমুজ্জামান মুক্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট।