সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্যপণ্যের মজুত নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে

ডক্টর মোশাররফ
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুত পর্যাপ্ত আছে বলে জনগণকে আতঙ্কিত হয়ে বেশি কেনাকাটা না করতে পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। তাই জনমনে প্রশ্ন হচ্ছে, এতো খাদ্যপণ্য মজুত থাকলে দাম বাড়ছে কেন। আসলে খাদ্যপণ্যের মজুত নিয়ে সরকার 'মিথ্যাচার' করছে।

সোমবার দুপুরে এক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে রচিত 'মৃতু্যকূপে ধাবমান বাংলাদেশ' শীর্ষক গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। সংকলিত গ্রন্থের ওপর বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক মমতাজ হোসেন ও গ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান ফরহাদ।

বাজারের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে ডক্টর মোশাররফ বলেন, 'গণমাধ্যমের খবরে আসছে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। রমজান মাসে কীভাবে চলবে মানুষ দিশেহারা। চিনি ১২০, গরুর মাংস ৮শ', লবণ ৪২ টাকা। বাজারে গিয়ে মানুষ সরকারকে গালাগালি করে। অতীতে কোনো সময় মুরগি, ইলিশ মাছ, রুই মাছ কেটে একশ'-দুইশ' অথবা আড়াইশ' গ্রাম ভাগ করে বিক্রি করার কোনো রেওয়াজ ছিল না। আজ কাঁচা

বাজারে মুরগি, ইলিশ মাছ, রুই মাছ ভাগ করে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেও সরকার বলছে, দেশে নাকি খাদ্যপণ্য পর্যাপ্ত মজুত আছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। সরকারের যারা মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী আছে তাদের সিন্ডিকেটের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেগা প্রজেক্ট করার কারণে, মেগা দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। এই লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, '২০১৪ ও ২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল এটাকে নির্বাচন মনে করে না। এজন্যে বিভিন্ন দেশ এই সরকারকে সবক দিচ্ছে যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপি যদি এ দেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না, হতে পারে না।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক লুতফুর রহমান, অধ্যাপক আবদুল লতিফ, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক শামসুল আলম, আবদুলস্নাহহিল মাসুদ, রুহুল আলম, আখতার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, সাইদুর রহমান মিহির বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে