সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
টাঙ্গাইল-৫

মাঠে সক্রিয় আ'লীগ, বিএনপি-জাপায় একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী

জোবায়েদ মলিস্নক বুলবুল
  ১৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে চলছে সরব রাজনীতি। এ আসনে সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বেশ জোরেশোরে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বড় দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, নির্বাচনী এলাকার অলিগলিতে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সমর্থন ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সন্তুষ্ট করতে লবিং করছেন। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে হঠাৎই শাসক দলের নেতাদের বাহ্যিক ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে। গণমানুষের সঙ্গে মোলায়েম সুরে কথা বলছেন- যার তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে কুশল জানতে চাইছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম জাতীয় সংসদ থেকে একাদশ সংসদ পর্যন্ত কাকতালীয়ভাবে এ আসনে বিজয়ী প্রার্থীর দলই সরকার গঠন করেছে। তবে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান জয়লাভ করলেও পরবর্তী সময়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ সরকার গঠনেরই আসন। ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবদুল মান্নান জয়লাভ করেছিলেন। এরপর যথাক্রমে বিএনপির আবদুর রহমান (১৯৭৯), জাতীয় পার্টির মীর মাজেদুর রহমান (১৯৮৬), জাতীয় পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান (১৯৮৮), পরবর্তী সময়ে বিএনপির মে. জে. (অব.) মাহমুদুল হাসান (১৯৯১), বিএনপির মে. জে. (অব.) মাহমুদুল হাসান (১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারি), আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান (১৯৯৬ সালের ১২ জুন), বিএনপির মাহমুদুল হাসান (২০০১), জাতীয় পার্টির আলহাজ আবুল কাশেম (২০০৮), আওয়ামী লীগের আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেন (২০১৪), আওয়ামী লীগের আলহাজ মো. ছানোয়ার হোসেন (২০১৮) পর্যায়ক্রমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ থাকলেও দু'টি দলেই রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আওয়ামী লীগের কোন্দল গোপনে হলেও বিএনপির মধ্যে এ সমস্যা তীব্র ও প্রকট। কিছুদিন আগেও তারা আলাদা আলাদা স্থানে সভা-সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচি পালন করেছে। গত বছরের ১ নভেম্বর গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে হাসানুজ্জামিল শহীনকে সভাপতি ও ফরহাদ ইকবালকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার পর ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা হতে থাকে। কর্মীদের মধ্যে সমঝোতা হলেও নেতৃত্ব পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন হয়নি পুরোপুরি।

এই সেদিনও আওয়ামী লীগের জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন শহরের আলোচিত 'খান পরিবার'। খান পরিবারের চার ভাইয়ের জ্যেষ্ঠ আমানুর রহমান খান রানা এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিন বছরের অধিক সময় হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন। এরপর থেকে তিনি ঘাটাইলে গিয়ে আস্তানা গড়েন। একই মামলায় তার অপর এক ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছেন। অপর দুই ভাই যথাক্রমে ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এখনো আত্মগোপণে রয়েছেন। চার ভাইকেই দলের জেলা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়নি। সঙ্গত কারণেই ওই কমিটিতে তাদের স্থান হচ্ছে না। তবে এমপি হওয়ায় আতাউর রহমান খানকে জেলা কমিটিতে রাখা হচ্ছে। জেলার রাজনীতি থেকে 'খান পরিবার' কার্যত: বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও তাদের অনেক অনুসারী রয়ে গেছে। তারা নানাভাবে খান পরিবারের প্রভাবকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।

এদিকে, আওয়ামী রাজনীতিতে যোগ হয়েছেন খান পরিবারের বিপক্ষ শক্তি সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন এবং জার্মান প্রবাসী দুই ভাই গোলাম কিবরিয়া (বড় মনি) ও তানভীর হাসান (ছোট মনির)। বড় মনি ও ছোট মনির এক সময় মুরাদ সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠজন থাকলেও সময়ের ক্রমধারায় তানভীর হাসান ছোট মনির এখন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং গোলাম কিবরিয়া বড় মনি জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির মহাসচিব। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. ছানোয়ার হোসেন খান পরিবারের অনুসারী হওয়ায় তাদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী খান পরিবারের মনমতো না হলে তাদের অনুসারীরা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করবে অনেকেই এ রকম ধারণা পোষণ করেন। তবে মো. ছানোয়ার হোসেন খান পরিবারের অনুসারী হলেও তার কর্মকান্ডে খান পরিবারের প্রভাব দেখা যায়নি। দশম ও একাদশ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মো. ছানোয়ার হোসেন কাজের মাধ্যমে অনেকটা ক্লিন ইমেজ তৈরি করেছেন। তিনি আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন চাইবেন। তিনি আওয়ামী রাজনীতির মূলধারায় নিজের অবস্থানকে ধরে রাখতে সচেষ্ট রয়েছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত। সভা-সমাবেশ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বীয় কণ্ঠে গান গেয়ে মানুষের মনযোগ আকর্ষণ করেছেন।

বহু দিন থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন টাঙ্গাইলের এক সময়ের প্রতাপশালী সিদ্দিকী পরিবারের অন্যতম সদস্য মুরাদ সিদ্দিকী। এর আগে তিনি এ আসন থেকে বার বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছেন। প্রতিবারই উলেস্নখযোগ্য পরিমাণ ভোট পেয়েছেন। মুরাদ সিদ্দিকীর সমর্থকদের ধারণা তার প্রাপ্ত ভোটগুলো আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাপার বাইরের। তাকে যদি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে দলীয় ভোটের সঙ্গে তার ভোট যুক্ত হলে তিনি অনায়াসে এমপি নির্বাচিত হবেন। আওয়ামী লীগ থেকে তিনি গ্রিন সিগনাল পেলেও গঠিতব্য জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাকে নেওয়া না নেওয়া নিয়ে দোলাচল চলছে। তবে আওয়ামী লীগে ভিড়তে তিনি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মামুনুর রশিদ মামুন মনোনয়নের প্রত্যাশায় গণসংযোগ করছেন। তিনি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসি হওয়া মুফতি হান্নানের আইনজীবী হওয়ায় বিতর্কে পড়ে যান। ওই সময় তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে দেশ ছাড়েন। পরে দেশে এসে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হন। দীর্ঘদিন টাঙ্গাইলের রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও ইদানীং বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সফর করছেন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, গণমানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এছাড়া প্রার্থী হিসেবে সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ বাহারুল ইসলাম তালুকদার মিন্টুর নামও শোনা যাচ্ছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাজ্ঞ রাজনীতিক একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সমর্থন যার দিকে থাকবে তিনিই এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাবেন- এমনটাই ধারণা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। এ কারণে এখনো স্পষ্ট নয়, কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন। আবার আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ হয়ে মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনটি মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীর হতে পারে- এমন আলোচনাও প্রকট।

অন্যদিকে জেলা শহরে বিএনপির কোন্দল নয়া কমিটি গঠনের পর কিছুটা কমে আসলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় আবার মাথাচাড়া দিচ্ছে- এর বিরূপ প্রভাব নির্বাচনে পড়বে এটা স্পষ্ট। নবগঠিত জেলা বিএনপির কমিটি সম্মিলিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিগুলো পালন করছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সাউদ্দিন টুকু এ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় স্থানীয় নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসেছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পান- ভেতরে ভেতরে স্থানীয় নেতৃত্ব এটা চায় না। তবে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এ আসনের প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী। তবে তিনি বয়সের ভারে নূ্যব্জ। ইতোপূর্বে এ আসন থেকে তিনি চার বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, মন্ত্রীও হয়েছেন। তার ছেলে প্রকৌশলী রাশেদ হাসান মনোনয়ন চাইতে পারেন। গেল শীত মৌসুমে তাকে গণসংযোগ ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি গণসংযোগের পাশাপাশি দুস্থদের সহায়তাও করছেন। তিনি দলের ত্যাগী নেতাদের একজন, দলের সব কর্মসূচিতে তাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। দলের নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে তিনি নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনও এ আসনে দলের মনোনয়ন চাইবেন। গত বছরের নভেম্বরের দলীয় সম্মেলনে তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি হয়েছেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আহসান হাবিবও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের সব সময়ের প্রার্থী সৈয়দ খালেদ মোস্তফা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় শহর ও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালাচ্ছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। স্বীয় প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি নিজের হাতে ব্যানার টাঙান, দেওয়ালে চিকা মারেন, পায়ে হেঁটে গ্রামে গ্রামে-মহলস্নায় মহলস্নায় গিয়ে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেন।

রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ও জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি জেলায় আলাদা আলাদা আহ্বায়ক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি দেওয়ায় জেলায় জাপার রাজনীতিতে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মনোনয়ন চাইবেন ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত শিল্পপতি আলহাজ আবুল কাশেম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সালাম চাকলাদার ও জেলা জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবুল কাশেম মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু পুরো সময় তিনি সংসদ সদস্য থাকতে পারেননি। ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে করা মামলায় তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান এবং বিএনপির মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। জাপা এবার মহাজোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে এ আসনের দাবিদার হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি আবুল কাশেম ও জেলা জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রাধান্য পাবেন। একক কিংবা পৃথক জোট করলেও এ আসনের মনোনয়ন জাপার হাতে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। দীর্ঘদিন জেলার রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকলেও জাতীয় পার্টির আবুল কাশেম মনোনয়নের প্রত্যাশায় সক্রিয় হয়েছেন। জেলা জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছেন ফলে জেলা জাপা'র নেতাকর্মীরা আবার উজ্জীবিত হচ্ছেন।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে সিদ্দিকী পরিবারের মুরাদ সিদ্দিকী জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থী হলেও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। একইভাবে জাকের পার্টি, খেলাফত মজলিশসহ ছোটখাট দলগুলোর প্রার্থীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে এখনো তৎপরতা শুরু করেননি।

মহান জাতীয় সংসদের ১৩৪ টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮০ হাজার ২৭৯ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৬ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ জন।

হ আগামীকাল : টাঙ্গাইল-৬ আসনের বিস্তারিত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে