সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিনোদপুর কান্ড

রাবি শিক্ষার্থী শাহরুখের অস্ত্রোপচার হয়নি

চোখের পরীক্ষা করা হয়েছে তিন শিক্ষার্থীর
যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

অনিশ্চয়তার কারণে সংঘর্ষে আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরুখ মাহমুদের অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। মাথায় পুলিশের ছররা গুলির পিলেটটা ভবিষ্যতে সমস্যা করতেও পারে, না-ও পারে। সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করতে হবে। এজন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তিনি ফিরে গেছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গত শনিবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ছররা গুলিতে আহত হন শাহরুখ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। শাহরুখ মাহমুদের বাড়ি রাজশাহী নগরের সপুরা এলাকায়।

শাহরুখ মাহমুদের সহপাঠী সাধন মুখার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার দিন রাত ১০টার পরে আহত এক বন্ধুকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল সেন্টারের কাছে নিয়ে আসার সময় শাহরুখের মাথায় গুলি লাগে। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিনই তার একদফা অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু সিটি স্ক্যানে ধরা পড়া গুলির পিলেট তার মাথা থেকে অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান। জরুরি বিভাগ থেকে তাদের প্রথমে নিউরো মেডিসিন বিভাগে ও পরে নিউরো সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানে সাজ্জাদ নামে একজন চিকিৎসক আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব কাগজপত্র দেখেন বলেন, পিলেটটা অনেক ভেতরে ঢুকে গেছে। আর মাথায় রক্ত চলাচল করছে। সিটি স্ক্যানে যে জায়গায় ওটা দেখা যাচ্ছে, অস্ত্রোপচার করলে ওই জায়গায় এখন না-ও পাওয়া যেতে পারে। এমন হতে পারে এক মিনিটেও পাওয়া যেতে পারে, আবার দীর্ঘসময় অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। বিষয়টি অনিশ্চিত।

এদিকে ১৯ মার্চ থেকে শাহরুখদের 'ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা'। এসব বিষয় শুনে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বললেন, পিলেটটা ভবিষ্যতে সমস্যা করতেও পারে, না-ও পারে। তবে সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করতে হবে। এরপর বুধবার সকালে রাজশাহীর উদ্দেশে ট্রেনে ওঠেন শাহরুখ।

এ ছাড়া আহত অবস্থায় ঘটনার দিন রাতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। ওইদিন রাতেই তাদের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। এঁদের তিনজনের 'ভিট্রিয়ল রেটিনাল ইনজুরির' কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

এই তিন শিক্ষার্থী হচ্ছেন মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আলিমুল ইসলাম, আইন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন ইসলাম ও ফার্সি বিভাগের শেষ বর্ষের মিসবাহুল।

শিক্ষার্থী আল আমিনের বাবা আবদুস সেলিম বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, তিন শিক্ষার্থীর চোখের চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতালে বোর্ড বসানো হয়েছিল। তারপর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হাতে পাওয়ার পর চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে