সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় নিত্যপণ্যের বাজারে চড়া দাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

সপ্তাহ ব্যবধানে যথারীতি চড়া দমে অপরিবর্তিত রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। যদিও এবার বছরের প্রথম দিন থেকেই উত্তাপ বিরাজ করছে সব ধরনের পণ্যের দামে। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতাদের ক্ষোভ আর ভোগান্তি চরমে ঠেকেছে। এদিকে এক মাস ধরে প্রায় সব গ্রীষ্মের সবজি বিক্রি হচ্ছে ১শ' টাকার ওপরে। ফলে রমজান যত ঘনিয়ে আসছে সবজি নিয়ে ক্রেতাদের শঙ্কা ততই বাড়ছে।

এ সপ্তাহেও রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা কেজি দরে। যা দেশের বাজারে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। অপরিবর্তিত দামে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৬০ এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩১০-৩২০ টাকা কেজি দরে। আর গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকার ওপরে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধিতে বাজারে সোনালি মুরগির চাহিদা কিছুটা বেড়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রোস্টের

মাংসের জন্য সোনালি মুরগির চাহিদা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সাধারণ ক্রেতারা ব্রয়লার মুরগিই কিনে থাকেন। কিন্তু ব্রয়লারের বাড়তি দামের কারণে বেশির ভাগ ক্রেতা সোনালি কিনছেন। দেখা গেছে একটা ব্রয়লারের দামে ২টা সোনালি মুরগি কেনা যাচ্ছে।

এদিকে বাজারগুলোতে এক-কেজির নিচে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেক দোকানিকে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাজারে আধা কেজি মাংস বিক্রি করছেন ২ জন বিক্রেতা। তারা জানান, বর্তমান একটা ব্রয়লারের দামে প্রায় ৬০০ গ্রাম গরুর মাংশ পাওয়া যায়। এজন্য তারা গত দু-সপ্তাহ ধরে আধা কেজি পরিমাণে গরুর মাংশ বিক্রি করছেন। মূলত মাংশের দাম বৃদ্ধিতে বিক্রি কমে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন দোকানিরা।

গরুর মাংশ বিক্রেতা আকরাম বলেন, 'আমার ৩ পুরুষ এই শহরে গরুর মাংস বিক্রি করেছে। কিন্তু কোনো দিন মাংস অবিক্রীত থাকেনি। এখন শুক্রবার ছাড়া পুরো একটা গরুর মাংস বিক্রি করেত পারছি না। তাই কিছুটা বাধ্য হয়ে হাফ কেজি মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লাভ কম হয় কারণ অল্প মাংসের মধ্যে হাড় চর্বি কম দিতে হয়, তবে মাংস বিক্রি হচ্ছে এটাই স্বস্তি।'

এদিকে বাজারগুলোতে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ গ্রীষ্মের সবজি। কিছুটা বেড়েছে ফুলকপি টমেটোসহ

শীতের সবজির দামও। এদিনও প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হয়েছে ৮০-১০০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, উসতা ৮০ টাকা, করোলস্না ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শজিনা ২০০ টাকা, সিম ৬০ টাকা এবং ফুলকপির পিস ৪০-৫০ টাকা দরে। এছাড়াও আকার ভেদে লাউয়ের পিস বিক্রি হয়েছে ৬০-১০০ টাকা এবং কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা দরে।

অন্যদিকে আমদানি বৃদ্ধিতে বাজারে ছোলার দাম অনেকটা কমেছে। দু'সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকা দরে। তবে বাড়তি রয়েছে ডাল ও চিনির দাম। যদিও পণ্য দুটির পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এদিন প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা এবং মসুর ডাল বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে।

যথারীতি এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে রাজধানীর মাছের বাজার। বাজার ও আকারভেদে রুই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৭০-৫০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা; পাবদা ও শিং মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, বায়লা ও আইরের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০-৮০০ টাকা এবং বোয়াল ৪০০-৭০০ টাকা দরে। অন্যদিকে ট্যাংরা মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা, শোল মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫০-১০০০ টাকায়। চাষকৃত কই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮০; পাঙ্গাস বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা দরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে