সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় জমে উঠেছে পশুর হাট

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গাইবান্ধার সাঘাটায় কোরবানির পশুহাটগুলো জমে উঠেছে। প্রতিটি হাট-বাজারে অসংখ্য গরু-ছাগল আমদানি হচ্ছে। বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই গরু কেনা-বেচায় খুশি নন। ক্রেতাদের অভিযোগ- দাম বেশি, আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরূপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা। পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সাঘাটা উপজেলায় নিয়মিত এবং মৌসুমিসহ প্রায় ৬টি হাটে অসংখ্য দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানি ও বেচা-কেনা হচ্ছে। বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারিরা এ সময় এসব হাটে কোরবানির গরু বিক্রি

করেন। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য শেষ মুহূর্তে পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে হাট-বাজারগুলোতে ভিড় করছেন। ঈদের কয়েকটা দিন বাকি থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা হাট-বাজারে ভিড় করলেও গো-খাদ্যের দাম ও গাড়ি ভাড়া কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গরুর দাম বেশি পড়ায় লোকসানের আশঙ্কা পাইকারদের।

প্রতি হাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি গরু-ছাগল পাওয়া যায় না। তাদের কারণে গরু-ছাগলের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারারা। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারিরা।

যোগিপাড়া গ্রামের খামারি আনছার আলী জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়ে গেছে। একারণে বেশি দামে বিক্রি করতে না পারলে এবার খামারিদেরকে লোকসান গুনতে হবে।

উপজেলার ভরতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের 'আলী বাবা' নামে খ্যাত সবচেয়ে দর্শনীয় গরু দেখার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে প্রতিদিন। গরুটির ওজন প্রায় ১৫শ' কেজি। দাম হাঁকা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। ১২ লাখ পর্যন্ত দাম উঠলে ১৪ লাখ ছাড়া বিক্রিতে আপত্তি আতিয়ারের। এবার বাজারে দেশি গরুর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু পাইকারদের আনাগোনা কম বলে জানান ভরতখালী হাট কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা। এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য হাট কমিটির লোকজন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান সাঘাটা থানার পুলিশ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে