আজকের যায়যায়দিন

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে নির্মিত হতে যাচ্ছে ঢাকা নগর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। প্রাথমিকভাবে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ বিঘা জমির ওপর এই বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ শেষে এই বাস টার্মিনাল ব্যবহার শুরু হলে ঢাকায় আর ঢুকবে না ১৬ জেলার দূরপালস্নার ১১ হাজার বাস। এতে রাজধানীর যানজট অনেকটাই কমে যাবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল আগামী ফেব্রম্নয়ারি মাসের মধ্যে বাস চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।

বুধবার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করে এসব তথ্য জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র তাপস বলেন, ১৯৮৪ সালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর আর কেউ ঢাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে ঢাকায় পরিবহণ ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা নেই। নগর পরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ঢাকার বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কাঁচপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার গণপরিবহণ চলাচল করবে। এটি নির্মিত হলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে নগর পরিবহণ সেবায় নিয়োজিত বাস শুধু চলাচল করবে। ঢাকায় যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কাঁচপুর বাস

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

টার্মিনালে এসে দূরপালস্নার বাসে সহজে উঠতে পারেন, সে জন্য নগর পরিবহণের বাস সায়েদাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচল করবে।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে এবং নগর পরিবহণে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার বাইরে ঢাকার চারপাশে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন। এরই প্রথম উদ্যোগ কাঁচপুর বাস টার্মিনাল।

তিনি আরও বলেন, আগামী ছয় মাস অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসের মধ্যে টার্মিনালের মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, চালক ও হেলপার কর্মচারীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করাসহ বাস টার্মিনালের বাস রাখার উপযোগী করে তোলা হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১২ বিঘা জমির ওপর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে এতে।

ঢাকায় গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে কোনো উদ্যোগের পাশে থাকবে বলে জানান সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উলস্নাহ।

সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফিরদৌস জানান, সওজ বিভাগের যে জায়গায় কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নিমিত হচ্ছে, এখান থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার প্রায় ১১ হাজার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। এই বাসগুলো ঢাকায় বাইরে চলে এলে ঢাকায় যানজট অনেকাংশে কমে আসবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।