সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
চড়া দামে অপরিবর্তিত মাছ-মাংস ও পেঁয়াজের বাজার

এবার বেড়েছে মোটা চালের দাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

রাজধানীর বাজারে এবার বেড়েছে মোটা চালের দাম। গত কয়েক দিনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মানভেদে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন চালে। এ দিন কোনো পণ্যের দাম না কমলেও নতুন করে বেড়েছে আলুর দামও। এছাড়াও আগের চড়া দামেই বিক্রি হয়েছে মাছ-মাংসসহ সবজি, ডিম, আদা-রসুন ও পেঁয়াজ।

এ দিন বাজারভেদে মোটা চালের কেজি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন পাইকারি আড়তে হঠাৎ দাম বৃদ্ধির কারণে গত ২ থেকে ৩ দিন ধরে মোটা চালের বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। যা এ শুক্রবার বেড়ে প্রায় ১০০ টাকা হয়েছে। ফলে খুচরায় প্রতি কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

এ দিন কল্যাণপুর নতুন বাজার ও মিরপুর ১ নম্বর বাজারে গুটি স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজিতে প্রায় ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা দরে। অন্যদিকে কেজিতে প্রায় ৩ টাকা বেড়ে পাইজাম ও ২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। অন্যদিকে অনেকটাই অপরিবর্তিত চিকন চালের বাজার। মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।

এদিকে গত সপ্তাহে প্রায় ৫ টাকা বেড়ে আলুর কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪৫ টাকা যা এ দিন আরও ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা দরে। এ দিন মানভেদে আদার কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং বড় রসুনের কেজি বিক্রি হয়ে ২৪০ টাকার উপরে। অন্যদিকে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। চড়া দাম অব্যাহত আছে মাছ বাজারেও।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান বাজারের প্রায় সব পণ্যই এখন সিন্ডিকেট আর অতি মুনাফাভোগীদের দখলে। পরিস্থিতি উন্নতি

তো দূরে কথা ক্রমে আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। যদি সিন্ডিকেটে প্রভাব কমানো বা নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে কোনো পণ্যই আর সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে না।

এদিকে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলেও এখনো এর সরবরাহ শুরু হয়নি। ফলে বাজার দর চড়াই রয়েছে। এ দিনও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকার ওপরে। কোনো কোনো বাজারে যা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকার উপরে। এছাড়াও ডিমের হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা আর ডজন বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকায়।

এ দিন মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০, পাঙ্গাশ ২৩০, চাষের কই ৩৭০, তেলাপিয়া ৩০০ ও শিং মাছ ৬০০ টাকার উপরে। সপ্তাহ ব্যবধানে এসব মাছের কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত এবং দুই মাসের ব্যবধানে কিছু মাছে বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকার ওপরে। বাড়তির দিকেই রয়েছে সব ধরনের নদী-নালা ও সামুদ্রিক মাছের দাম। গত ঈদের পর থেকে এসব মাছের কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

যথারীতি এ দিনও ৯০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা, শোল মাছ ৮০০, পাবদা ৬০০ থেকে ৬৫০, ট্যাংরা মাছের কেজি ৭০০, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, মাঝারি আকারে বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০, গুঁড়ামাছ ৪০০, ছোট চিংড়ি ৫০০, গলদা ৭০০ এবং বাগদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে।

অন্যদিকে গত কয়েক সপ্তাহের মতো এ দিনও বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হয়েছে চড়া দামে। যথারীতি পেঁপে ও মিষ্টিকুমড়া ছাড়া বেশির ভাগ সবজিই বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। বাড়তি দাম অব্যাহত আছে আদা-রসুনের বাজারে। শুক্রবার বাজারে আসা প্রতি কেজি তাল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, সবুজ গোল বেগুণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা এবং সরু বেগুণ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা দরে। অন্যদিকে ঝিঙা, ধুনদল, চিচিঙ্গা, করোলা ও ঢঁ্যাড়শের কেজিও বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার ওপরে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁকরোল, কচুরলতি, পটোল, লাউ ও চাল কুমড়ার পিস। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকার ওপরে। তবে মিষ্টিকুমড়া ও শসা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা এবং পেঁপের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায় দরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে