সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শাবি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তিনকর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর মো. কামরুজ্জামান

চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ আহমেদ, রাতুল এবং আসিফ। আহতরা সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করে।

সেখানে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্র সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে বসাকে কেন্দ্র করে নগরীর আম্বরখানায় তর্কে জড়ায়। এরপর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে আবারও তর্কে জড়ান তারা। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান ও সজিবুর রহমানের সমর্থকরা ঘটনাস্থলে এসে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়ান।

এ সময় উপর্যুপরি কিলঘুষিতে ছাত্রলীগের তিন কর্মী আহত হন। আক্রমণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. তারেক রহমান, নূর মোহাম্মদ শৈশব, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সজীব নাথ, একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম খান, মো. ফাহিম এবং আরও কয়েকজন। তারা খলিলুর রহমানের অনুসারী বলে জানা যায়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে ফিরে এসে শাহপরান হলে এসে আবারও তর্কে জড়ায় দুই পক্ষ। এরপর হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডক্টর মো. মিজানুর রহমান খান, প্রক্টর, সহকারী প্রভোস্ট, সহকারী প্রক্টররা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

আহত মারুফ আহমেদ বলেন, আমরা তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খাবার দোকান থেকে খেয়ে বের হয়ে দেখি সেখানে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা চলছে। এরপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের পরিচিতদের দেখতে পেয়ে তাদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। এরপর সেখানে উপস্থিতরা আমার বন্ধুকে গালিগালাজ করে মারতে আসে। সে সময় আমি প্রতিহত করতে গেলে তারেক আমাকে প্রথম মারধর শুরু করে। এরপর শৈশব আমাকে লাথি দেয় এবং পেছন থেকে কেউ একজন এসে আমাকে শক্ত কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর আমি কিছু বলতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, জ্ঞান ফিরলে আমি দেখতে পাই হাসপাতালে আমার চিকিৎসা চলছে। আমার মাথায় দুইটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে সিটিস্ক্যান করে এসেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কেউ যোগাযোগ করেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে প্রক্টর বা কোনো শিক্ষক এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি।

শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডক্টর মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ঘটনাটি হলের কোনো ঘটনা নয়। ঘটনার সূত্রপাত নগরীর আম্বরখানা এলাকায়। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে সংঘর্ষে জড়ায়। এরপর তারা হলে এসে আবার তর্কে জড়ায়। এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র হলের প্রভোস্ট, প্রক্টররা মিলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় যারা আহত হয়েছে আমরা তাদের খবর নিয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে