'পাল ওড়ায়ে দে, ও মাঝি নাও ছাড়িয়া দে' চিরপরিচিত পলস্নী প্রকৃতির এই গানের বাণী এখন আর আগের মতো মাঝিমালস্নার মুখে শোনা যায় না। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক বাহারি রঙের পালের নৌকা ব্যবহারের সংস্কৃতিতেও পড়েছে ভাটা। অথচ এক সময় স্রোতঃস্বিনী নদ-নদীতে মাঝিমালস্নারা পালের নৌকার ওপর নির্ভর করেই উজানে যেতেন। বিভিন্ন ধরনের জাল ফেলে ভাটিতে আসতেন। জেলেদের জালে জড়াত রূপালী ইলিশ। সেই খুশিতে ভাটিয়ালি গাইতেন তারা। পালের নৌকা এখনো দেশের অনেক এলাকার নদ-নদীতে চোখে পড়ে। তবে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার-নৌকার দৌরাত্ম্যে নদীর বুকে পাল তোলা নৌকার অপরূপ দৃশ্য হারিয়ে যেতে বসেছে।
মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতী নদীতে প্রতিবছর পাল তোলা নৌকার এই দৃশ্য বেশ নজরে আসে। শরতের বিকালে বাহারি রঙের পালের নৌকায় রঙিন হয়ে ওঠে মধুমতী। নদীতে তৈরি হয় মনোমুগ্ধকর আবহ। মধুমতী নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুতে দাঁড়িয়ে অগণিত মানুষ রোজ বিকালে নানা রঙের পাল তোলা নৌকার দৃশ্য দু'চোখ ভরে উপভোগ করেন।
ক্যাপশন : জেলেদের পাল তোলা রঙিন নৌকা মধুমতীর বুকে এনে দিয়েছে রঙ ও রূপের অপূর্ব সমাহার। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য নদীবক্ষে উপভোগ্য আবহ তৈরি করে - যাযাদি