আজকের যায়যায়দিন

দিলিস্নর এক সেলফিতেই বিএনপির রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনে যাওয়ার লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকার স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তাদের চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে, নেতাকর্মীদের আশা ভেঙে গেছে। রোববার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, 'কে নিষেধাজ্ঞা দিল, কে ভিসানীতি প্রয়োগ করল, এসবে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ। জনগণের সেই শক্তিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।' বিএনপি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, 'মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের আন্দোলনের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।' সেতুমন্ত্রী বলেন, 'ডক্টর ইউনূস আমাদের সুখে-দুঃখে নেই। তাকে আপন মানুষ ভাববে কেমন করে? যে বিবৃতি তিনি ছাপিয়েছেন, তার খরচ দুই মিলিয়ন ডলার। কোথা থেকে এলো এত টাকা? ডক্টর ইউনূসের ওপর ভর করেছে বিএনপি। ওয়ান ইলেভেনের মতো নাগরিক কমিটি করে সুশীল সরকার গঠনের দিন চলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে কাকে ভোট দিবে। দেশের ৭০ পার্সেন্ট মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে।' ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়, সাম্প্রদায়িক ও অপকর্মের দল নয়। আওয়ামী লীগ সত্যের পক্ষে, জনগণের পক্ষে তাদের সুদৃঢ় অবস্থান যে কোনো মুহূর্তে জানান দেয় ও দিতে পারে।' আগামী নির্বাচন বলে দিবে কে বাংলাদেশের ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিন। নির্বাচনে আসেন। মোকাবিলা হবে ইলেকশনে। ফাইনাল খেলা ইলেকশনে- বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যোগ করেন তিনি। যুবলীগকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে নিজেদের বলিষ্ঠ অবস্থান নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'যুবলীগ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ, আন্দোলন সংগ্রামে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃষ্টান্তকারী সংগঠন। যুবলীগ অন্যান্য সংগঠনের কাছে অনুসরণীয়, অনুকরণীয়। যার যা প্রাপ্য তা স্বীকার করা উচিত। ভালো কাজের প্রশংসা পাওয়া উচিত।' যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ, হাবিবুর রহমান পবন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।