সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ ইসির

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আসন্ন নির্বাচনে ভোটের মাঠে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বৃহস্পতিবার ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

ইসি জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে সব নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

প্রতি উপজেলায় একজন। তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়নবিশিষ্ট উপজেলায় দু'জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। এ নিয়ে সব উপজেলা মিলিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে মোট ৫২৫ জন। জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন। তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দু'জনসহ সারাদেশে ২১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ করে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫, চট্টগ্রামে ১০, খুলনায় ৬, গাজীপুরে ৪ ও অন্য সিটি করপোরেশনে ৩ জন করে মোট

৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন।

চিঠিতে ইসি জানায়, তবে স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। তাছাড়া সব জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন এক থেকে দু'জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে। যেন জরুরি প্রয়োজনে যে কোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের দু'দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবি বা এ ধরনের বাহিনীর প্রতি টিম বা পস্নাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে। এ কারণে ওইসময় আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কমানো প্রয়োজন হবে। মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্টেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে।

বিপুল সংখ্যক নিয়োগ ও পদোন্নতি

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, চতুর্থ গ্রেডে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ৯ জনকে, পঞ্চম গ্রেডে উপ-সচিব সমমানের পদে ১১ জনকে, ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র সহকারী সচিব/সমমানের পদে ১৩ জনকে, দ্বিতীয় শ্রেণি হতে প্রথম শ্রেণির সহকারী পরিচালক, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ২৩ জনকে, তৃতীয় শ্রেণি হতে দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে ১৬১ জনকে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে দু'জনকে এবং ১৮ থেকে ১৬তম গ্রেডে ৫০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণির ১১টি পদে কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী, হিসাব সহকারী, স্টোর কিপার, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়িচালক, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রভৃতি পদে রাজস্ব খাতে মোট ৪১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন কার্যালয়ের শূন্যপদ পূরণে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার হতে প্রথম শ্রেণির পদে ৯০ জন এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা/সমমানের পদে ৩১৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পদে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয় উলেস্নখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭২৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। এমসিকিউ, লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ৪১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। উলিস্নখিত সংখ্যক কর্মচারী আগামী ২৬ নভেম্বর যোগদান করবেন। নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে