আজকের যায়যায়দিন

সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ও পরীক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর অবশেষে স্থগিত করা হয়েছে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা।

জানা গেছে, হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তা শঙ্কা মাথায় নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চাননি প্রার্থীরা। অন্যদিকে পরীক্ষা নিতে অনড় ছিল পিএসসি। সময়সূচি ও আসনবিন্যাসও প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় খুশি পরীক্ষার্থীরা।

শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠেয় ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট) অনিবার্য কারণবশত কমিশন স্থগিত করেছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ ও সময়সূচি যথাসময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

সংশ্লিষ্টরা জানান, হরতাল-অবরোধ ও নির্বাচনী তৎপরতার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত নিয়ে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছিলেন পরীক্ষার্থীরা। গত ১৯ নভেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে স্মারকলিপি দেন। একই দাবিতে পিএসসিতেও লিখিত আবেদন করেন। ২১ নভেম্বর তারা আবারও সিইসিকে লিখিত আবেদন দেন।

পরীক্ষা পেছাতে প্রার্থীদের সপ্তাহব্যাপী দৌড়ঝাঁপে পাত্তা না দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিখিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ও আসনবিন্যাস প্রকাশ করে পিএসসি। তাতে ২৭ নভেম্বরই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তবে, প্রার্থীদের জোরালো দাবির মুখে অবশেষে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় প্রার্থীরা খুশি হয়ে পিএসসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করছেন। অনেকেই লিখেছেন, 'পরীক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।'