আজকের যায়যায়দিন

গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর থেকে হরতাল-অবরোধের পুরনো কর্মসূচিতে ফিরে আসা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে 'আগুন সন্ত্রাসী' অ্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা এই সমস্ত কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।'

চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান সড়কে শনিবার 'বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ' শীর্ষক মু্যরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, 'আজকে বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কী অপরাধ করেছে? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দেবেন। তাহলে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।'

পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা ও যানবাহন পোড়ানো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না- মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুল ঘর পোড়ায়, ওরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়। যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, শেষ আগুন সন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশালস্নাহ নির্মূল করা হবে এই দেশ থেকে।'

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

গত ১৪ জুন বিএনপির 'তারুণ্যের সমাবেশ' চলার সময় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে সড়কের পাশে দেয়ালজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের আলোকচিত্র নিয়ে তৈরি গস্নাস মু্যরাল ভাঙচুর করা হয়। সেখানে নতুন টাইলস মু্যরাল স্থাপন করা হয়েছে।

মু্যরাল ভাঙচুরের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তারা ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি, ভাঙচুর করার সময় উলস্নাসও করেছে। আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই মু্যরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল?'

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী মু্যরাল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।