টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় সড়কে গজারি গাছ ফেলে শিক্ষাসফরে রওনা দেওয়া চারটি বাসে ডাকতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাতদলের হানায় লুট হয়েছে প্রায় অর্ধলাখ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের সাগরদিঘী-ঘাটাইল সড়কের মালিরচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বহনকারী চারটি বাস শিক্ষাসফরে নাটোরে যাচ্ছিল। পথে সাগরদিঘী-ঘাটাইল সড়কে গজারি গাছ ফেলে তাদের বাস আটকায় সশস্ত্র ডাকাতদল। এ সময় যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে তারা।

সোয়াইতপুর উচ্চ বিদয়ালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম রুবেল জানান, ডাকাতদলের কয়েকজন প্রথমে সড়কে গাছ ফেলে। পরে বাসের চালককে অস্ত্রে মুখে জিম্মি করে

শিক্ষার্থীদের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল।

তিনি জানান, ডাকাতিকালে প্রায় অর্ধলাখ নগদ টাকা, ৮টি মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে।

এছাড়া, ২১ ফেব্রম্নয়ারি রাত দেড়টার দিকে একই স্থানে ডাকাতির শিকার হন সাগরদিঘী এলাকার আজমত আলী নামের এক ব্যক্তি। ডাকাতরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ২০ হাজার টাকা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি জানান, রাতে ওই সড়কে যাওয়ার পথে একদল ডাকাত পথরোধ করে। বাধা দিতে গেলে তারা হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। পরে তার সঙ্গে থাকা টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জলিল মিয়া বলেন, 'সাগরদিঘী-ঘাটাইল সড়কে দীর্ঘদিন ধরেই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে, কিন্তু প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাত হলেই সড়কটি আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠে।'

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম লিটন ভূঁইয়া বলেন, 'প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় ডাকাতরা বারবার একই জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। আমরা রাতে চলাফেরা করতে ভয় পাই। এখানে একটা পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন জরুরি।'

ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ তৎপর রয়েছে দাবি করে গোপালপুর সার্কেলের এসপি মো. রাসেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, 'এ ঘটনায় আমরা তৎপর। স্থানীয়রা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।'

ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।