আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে শেরপুরে বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় জাকারিয়া বাদল (৪৭) নামে গুরুতর আহত একজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত জাকারিয়া সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস। এর আগে এদিন বিকালে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত দুজন হচ্ছেন- সোহাগ আলম (৩৫) ও রুহুল। এরমধ্যে সোহাগের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই বাদলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। জেলা বিএনপি নেতাদের গ্রম্নপিংয়ের কারণে সম্প্রতি ওই দুই নেতার সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়ে। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা নুরে আলমের সঙ্গে লুৎফরের রাজনৈতিক বৈরিতা আগে থেকেই। অভিযোগ আছে, বাদলকে দমাতে সম্প্রতি শেরপুর জেলা কারাগারে থাকা সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন লুৎফর। ওই দুজন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আগাম পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিএনপি নেতা লুৎফর জেলে সাক্ষাতের পর এলাকায় গিয়ে কৃষক লীগ নেতা নূরে আলমের লোকজনের সঙ্গে গোপন মিটিং করে প্রতিপক্ষ বাদলকে শায়েস্তার পরিকল্পনা করেন।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকালে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজন একই মোটর সাইকেলে ভীমগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা নুরে আলম ও লুৎফরের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি আঘাতে বাদলসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রাতে জাকারিয়ার মৃতু্য হয়।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।