খাল দখলের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, খাল উদ্ধার করতে গেলে যদি কিছু অবৈধ স্থাপনা ভাঙতে হয়, তাহলে সেটাও করতে হবে। যেখানে রাস্তার জায়গা আছে, সেটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। এছাড়া, যদি কোনো ভবন খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠে, সেগুলোও অপসারণ করতে হবে। উন্নয়নের মূল শর্ত হলো, জনগণ যেন তাদের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং নিজের স্বার্থরক্ষার জন্য দখলদারিত্বের পথে না যায়।
বুধবার নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক পরিচালিত খাল খনন কর্মসূচির আওতায় ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আকমল আলী রোডসংলগ্ন মাইট্টে খালের খনন ও পরিষ্কার কাজের উদ্বোধনের সময় সিটি মেয়র এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য আমরা খাল খননকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। ইতোমধ্যে কৃষিখাল, গুপ্তখাল, ডোমখাল, সুন্নিয়াখালসহ বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে মাইট্টে খাল একটি ব্যতিক্রমী খাল, যেখানে সবচেয়ে বেশি ওয়াসার পাইপ রয়েছে। এটি এখানে বসবাসরত কিছু মানুষ অপরিকল্পিতভাবে স্থাপন করেছে। ফলে, এই পাইপগুলোর কারণে খাল পরিষ্কার
ও খনন কাজে বিঘ্ন ঘটছে। প্রথমে আমাদের কাজ হবে পাইপগুলো সরিয়ে নেওয়া, তারপর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো।'
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে ধারাবাহিকভাবে নগরের বিভিন্ন খাল পরিষ্কার ও খননের কাজ চলবে। পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর সরফরাজ কাদের রাসেলসহ বিএনপি নেতারা।