আজকের যায়যায়দিন

ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঝুঁকি কমিয়ে আনতে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ কমিয়ে এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে ব্যাংক তার মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারবে না; যা আগে ছিল ৩৫ শতাংশ।

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের ইসু্যকৃত এক সার্কুলারে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নতুন নির্দেশনায় একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ফান্ডেড ঋণ ১৫ শতাংশের বেশি দেওয়া যাবে না। এবং নন-ফান্ডেড ঋণ ১০শতাংশের বেশি হবে না। ফান্ডেড ঋণ বলতে ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা দেওয়াকে বোঝায়। আর নন-ফান্ডেড বলতে লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি), গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন দায়কে বোঝানো হয়।

যদিও আগের নিয়ম অনুযায়ী, একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক তার মোট দায়ের ৩৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারত। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ ছিল ফান্ডেড। আর ২০ শতাংশ নন-ফান্ডেড ঋণ।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

পাওয়ার সেক্টরের ক্ষেত্রে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড মিলিয়ে মোট মূলধনের ৫০ শতাংশ দিতে পারবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশের নিচে তারা সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে। যাদের খেলাপি ৫ শতাংশের কম তারা ৪৬ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে, যাদের ১০ শতাংশের কম তারা ৪২ শতাংশ, এবং যাদের খেলাপি ১৫ শতাংশের কম তারা দিতে পারবে ৩৮ শতাংশ ঋণ।

এ ছাড়া যাদের খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশের কম তারা দিতে পারবে ৩৪ শতাংশ এবং যাদের ২০ শতাংশের চেয়ে বেশি তারা ঋণ দিতে পারবে ৩০ শতাংশ। যা আগের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ক্ষেত্রে কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে।

ব্যাংকিং খাতকে আরও স্থিতিশীল করে তুলতে এবং ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যেই এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।