সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

আহত ১৫ জন
ঢাবি প্রতিনিধি
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সড়ক দ্বীপ ও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দুই দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহকালে এক সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগও উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা টিএসসির গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের গতিরোধ করেন। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি সেস্নাগান দিতে থাকে। একটু পরে অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা সেখান থেকে ফিরে যাওয়া শুরু করলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের মারধর শুরু করেন। ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাইদ খান বলেন, 'ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে টিএসসিতে আমাদের পূর্বনির্ধারিত কেক কাটা ও র?্যালির কর্মসূচি ছিল। বেলা ১১টার দিকে টিএসসি জনতা ব্যাংক বুথ গেট দিয়ে প্রবেশ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোলস্না, সহ-সভাপতি আখতার, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সাব্বিরসহ ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহত সবাইকে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।' তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্রীড়ানুরাগী সাধারণ শিক্ষার্থী বিপিএলে কুমিলস্না ভিক্টোরিয়ানস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বিজয় মিছিল করে। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা খেলাধুলা হারাম বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগ হামলা করেনি বরং তারা (ছাত্র অধিকার) নিজেরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।' এদিকে, সংবাদ সংগ্রহকালে হয়রানির শিকার হওয়া সাংবাদিক আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, 'আমি দায়িত্ব পালন করতে গেলে ডাস চত্বরে জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফরিদসহ কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন। ভিডিও করছি কেন জানতে চান এবং মোবাইল দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এসে আমার পরিচয় দিলে তারা চলে যান।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে