আজকের যায়যায়দিন

বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এক্ষেত্রে যারা শামিল হতে পারবেন ভালো। আর যারা বিরোধিতা করবেন তারা '৭১ সালের মতো রাজাকারের খাতায় নাম লেখাবেন।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের মুক্তি, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

গয়েশ্বর বলেন, "১৯৭১ সালে একটি শান্তি কমিটি করেছিল ইয়াহিয়া খান। তখন যেখানে মুক্তিযোদ্ধা সেখানে শান্তি কমিটির উৎপাত। এখন আবার আরেকটি শান্তি কমিটি করা হয়েছে। যেখানে আমরা আন্দোলন করতে যাই সেখানেই এই শান্তি কমিটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আর এই শান্তি কমিটির 'চেয়ারম্যান' হলেন ওবায়দুল কাদের। আমি বিশ্বাস করি তিনি শান্তি কমিটির 'চেয়ারম্যান' থেকে পদত্যাগ করবেন। কোনো কমিটি তাকে রক্ষা করতে পারবে না। আমাদের একটাই দাবি, স্বৈরাচারের পতন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন।"

গয়েশ্বর বলেন, 'আমার মনে হয় এখন মুক্তির দাবি, কিংবা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। এই সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবিটাই আমাদের মুখ্য হওয়া দরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে। তারপর একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি সরকার দেশের জন্য অপরিহার্য।'

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

গয়েশ্বর বলেন, গ্যাস ও বিদু্যতের দাম বাড়লে সবকিছুর দাম বাড়বে। বিদু্যৎ খাতে লুটপাটের টাকা জনগণের পকেট কেটে সমন্বয় করছে। বিদু্যৎ উৎপাদন করুক বা না করুক ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে ভারতের আদানিকে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সাংবাদিক নেতা আমিরুল ইসলাম কাগজী, আইনজীবী আবেদ রাজা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।