রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
আলোচনা সভায় ডক্টর হাছান মাহমুদ

নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি খাদে পড়বে

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ - ফোকাস বাংলা

আগামী নির্বাচন বর্জন করলে বিএনপি খাদে পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের 'চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের' কারণে দলটির নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না দাবি করে ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, 'তাদের নেতাকর্মীদের আমি জিজ্ঞাসা করব- যে দল করলে কোনো নির্বাচনই করা যায় না, আপনাদের কি ঠেকা পড়েছে সেই দল করে তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে থাকার? তারেক রহমান যতদিন নির্বাচন করতে না পারবেন, ততদিন বিএনপির কেউ ইউনিয়ন মেম্বার নির্বাচনও করতে পারবেন না- এটাই এখন তাদের নীতি। কিন্তু বিএনপি আগামী নির্বাচন বর্জন করলে বুঝতে পারবে, তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন বর্জন করে নাই।'

বিদেশিদের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে 'সমর্থন না পেয়ে' বিএনপি এখন সুর বদলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এখন তারা বলছে, ভারত কী বলল, তাতে কিছু আসে-যায় না, যুক্তরাষ্ট্র বা ইইউ কী বলল, তাতেও কিছু যায়-আসে না। আশাহত বিএনপি বুঝেছে, বিদেশিদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ নেই।'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'চার থেকে সাড়ে চার মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে গেছে, সেটি সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা গত পরশুদিন ভারত সফর করে এসেছি। ভারত সফরকালে আমরা যাদের সঙ্গে দেখা করেছি, আলাপ করেছি, তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির অনেক প্রশংসা করেছেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ভবিষ্যতেও যেন এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।'

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সহযোগিতা ছাড়া বঙ্গবন্ধু যে অসাধ্য সাধন করেছেন তা সম্ভব হতো না। তিনি একটি ঘুমন্ত জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত করে এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতার বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা এই উত্তরণের ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার বিরাট ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা সংসার সামলেছেন। তিনি নিভৃতচারী, মহীয়সী নারী ছিলেন। একেবারে একজন সাধারণ নারী হিসেবে তিনি জীবন যাপন করেছেন।'

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, 'বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একমাত্র সহচর। যিনি সুখে, দুঃখে সব সময় ছায়ার মতো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। বঙ্গমাতার জীবনী থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।'

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আসারারুল হাসান আসুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান টিটু।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে