শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জনশূন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

অদৃশ্য এক ভাইরাস। যার প্রভাবে আবারও থমকে গেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। যদিও সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস চলাকালীন সময়ে, অ্যাথলেটদের পদচারণয় মুখরিত ছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ। এ মুহূর্তে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের কারণে বড্ড অচেনা স্টেডিয়ামপাড়া। সবমিলিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে আবারও কালো মেঘ বিরাজমান।

করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্বে অনিশ্চিত সবকিছুই। লকডাউনের কারণে আবারো বন্ধ ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ। এমনিতেই লম্বা সময় ছিল না লোকাল ক্রিকেট। বিপিএল এবং প্রিমিয়ার লিগ না খেলা ক্রিকেটাররা পড়েছেন চরম অর্থ সংকটে। শুরু হয়ে এনসিএল আবারো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্থ সংকটে পড়েছে ক্রিকেটাররা।

ফুটবল ক্লাবগুলোতে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া ফুটবলাররা। বিপিএল ফুটবলের দ্বিতীয় পর্বের জন্য শতভাগ প্রস্তুত ফুটবলাররা। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় শিগগিরই লিগ শুরু করার দাবি খেলোয়াড়দের। করোনার কারণে গেল বছর একটা বড় সময় স্থবিরতা নেমে এসেছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। যদিও এবার কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও নবম বাংলাদেশ গেমস সফলভাবেই শেষ করতে সক্ষম হয় আয়োজকরা। গেমসের পরপরই লিগ শুরুর পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। কিন্তু পেশাদার লিগ কবে মাঠে গড়াবে এমন প্রশ্ন ফুটবলারদেরও।

লকডাউনে জনমানবশূন্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামপাড়া। রমজান ও বৈশাখের প্রথম দিন বুধবার থেকেই ফেডারেশনগুলোতে নেই ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি। হ্যান্ডবল, উশু, কারাতে, রোলার স্কেটিং, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস কিংবা কাবাডি সব ফেডারেশনের মূল ফটকেই ঝুলছে তালা। এমন শূন্যতায় অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ পার করছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। করোনার ভয়াল থাবায় জনশূন্য স্টেডিয়ামের চারপাশ। যেখানে সুনসান নীরবতা। এক অন্যরকম চিত্র। ভলিবল, হ্যান্ডবল, উশু, কারাতে, রোলার স্কেটিং, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস কিংবা কাবাডি সব ফেডারেশনের মূল ফটকের সামনে রাজ্যের নীরবতা।

শেখ রাসেল রোলার স্কেটিংয়ের পাশেই পল্টন ময়দান মাঠ। যেখানে বরাবরই ক্রিকেট, ফুটবল, বেসবল-সফটবল, রাগবি খেলায় মেতে ওঠে তরুণরা। সেই মাঠও যেন শূন্য, মরুভূমিতে রূপ নিয়েছে। এমন দৃশ্যটা অবশ্য কারোরই কাম্য নয়।

কদিন আগেই বাংলাদেশ গেমসে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম স্টিক আর বলের লড়াইয়ে ছিল জমজমাট। সেখানেও জনশূন্য। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে স্টেডিয়ামের সামনের বাগান বিলাস ফুলগুলো। দাবা, ভারোত্তোলন, সাইক্লিং ফেডারেশন কিংবা জাতীয় টেনিস কমপেস্নক্সে সুনসান নীরবতা।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নেয়া ক্লাবগুলোতেও সুনসান নীরবতা। লকডাউন থাকায় ক্লাব প্রাঙ্গণেই একরকম বন্দি খেলোয়াড়রা। গত ৭ এপ্রিল প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে তা ভেস্তে যায়। যদিও লিগ সামনে রেখে রুটিন মাফিক অনুশীলন আর ক্লাবে সতীর্থদের সঙ্গে খোশগল্প করে সময় পার করছেন ফুটবলাররা। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক আহসান হাবীব বিপু বলেন, 'জরুরি কাজ ছাড়া আমরা একদম বাইরে যাচ্ছি না। এক ধরনের গৃহবন্দি অবস্থা।'

আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা বলেন, লকডাউনের মতো এমন ঢাকা কখনোই দেখিনি। একেবারে নতুন ঢাকার মতো মনে হচ্ছে। এই সবকিছু দূর হয়ে যাক, আমরা যেন তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরতে পারি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে