শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অলিম্পিকে ৩৩ বছর!

ম ক্রীড়া ডেস্ক
  ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকস থেকে ২০২১ টোকিও অলিম্পিকস। মাঝে সময়ের ডানায় চেপে পার হয়ে গেছে ৩৩টি বছর। 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' খ্যাত অলিম্পিকসের আঙিনায় কতজন এসেছেন, চলেও গেছেন, এর ইয়ত্তা নেই। কিন্তু নিনো সালুকভাৎসে আজও অলিম্পিকের চেনা মুখ! দীর্ঘ এই পথচলায় সালুকভাৎসেরও হয়ত এবার ক্লান্তি চেপে বসেছিল কিছুটা। ভেবেছিলেন থেমে যাবেন। কিন্তু সেখানেও ঘোর আপত্তি ছেলে সোৎনি মাখাভারিয়ানির। মাকে সে দেখতে চায় প্যারিসের আসরে! অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে তাই সালুকভাৎসেকে ভাবতে হচ্ছে নতুন করে।

অলিম্পিকের মূলমন্ত্রে অংশগ্রহণই মুখ্য। সেদিক থেকে সালুকভাৎসে হতে পারেন দারুণ উদাহরণ। বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসরে এ নিয়ে ৯ বার তার পা পড়ল। এর মধ্যে প্রথমবারই পেয়েছিলেন সেরা সাফল্য। ১৯৮৮ সালে সিউলের আসরে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে রুপা এবং ২৫ মিটার পিস্তলে জিতেছিলেন সোনা। সিউলের প্রতিযোগিতায় অবশ্য তিনি অংশ নিয়েছিলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের হয়ে।

এরপর একবারই অলিম্পিকসে পদকের স্বাদ পেয়েছেন সালুকভাৎসে; সেটা ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে। সেবার ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ। ৫২ বছর বয়সি এই শুটার এবার টোকিওতে আলো ছড়াতে পারেননি; ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ৩১তম এবং ২৫ মিটার পিস্তলে হয়েছেন ২৫তম। অবশ্য, এবার সব মিলিয়ে মোটেও স্বস্তিতে ছিলেন না তিনি। করোনাভাইরাসের থাবা, রোগ-ব্যাধিতে জেরবার অবস্থা ছিল সালুকভাৎসের। তিনি বলেন,' আমার বাবা, তিনি আমার কোচ। তিনি ৯০ বছর বয়সি। তিনি বেঁচে আছেন ও ভালো আছেন। তিনি এমনকি করোনাকেও হারিয়েছেন। তার পা ভেঙেছে ও অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে। আমার মা, স্বামী, ছেলে সবাই অসুস্থ ছিল। ওই সময় আমি ভাবিনি অলিম্পিকে অংশ নেব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে