শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষবেলায় আলোয় ফিরলেন আরাফাত সানি

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
বিপিএলে মঙ্গলবার ঢাকার শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি -ওয়েবসাইট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এ নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলছে ঢাকা ডমিনেটর্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। উভয় দলই পেস্ন অফে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৫ রানে ঢাকাকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। ফলে ১১ ম্যাচে চট্টগ্রামের পয়েন্ট ৬, এক ম্যাচ বেশি খেলে ঢাকার পয়েন্ট ৬। ঢাকার শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি। গতকাল চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচ হারলো। ঢাকার হয়ে আরাফাত ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ৭ বছরের বেশি সময় পর পেলেন তিনি ৪ উইকেটের স্বাদ।

এমনিতে বিপিএলে আরাফাত সানি মানে বরাবরই নির্ভরতার নাম। তবে সব দলে বেশির ভাগ সময়ই তার মূল কাজ থাকে আঁটসাঁট বোলিংয়ে রান আটকানো। তিন-চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়ে উঠতে পারেন কম সময়ই। সেই সানি এবারের মৌসুমে দলের শেষ ম্যাচে আলোয় এলেন ৪ উইকেট নিয়ে। তার সঙ্গে অন্য বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ২০ ওভারে করতে পারে ১১৮ রান।

সুদীর্ঘ বিপিএল ক্যারিয়ারে ৮৩ ম্যাচ খেলে আগে একবারই ৪ উইকেট নিতে পেরেছিলেন সানি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এই মিরপুরেই রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে।

এই সংস্করণে অবশ্য এক দফায় ৫ উইকেটের স্বাদও তিনি পেয়েছেন। তবে সেটি বিপিএলে নয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসের ক্রিকেটে ঢাকা মেট্রোপলিসের হয়ে বগুড়ায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে।

২০ ওভারের ক্রিকেটে নতুন বলে বোলিংয়ে এমনিতে বিশেষজ্ঞ মনে করা হয় সানিকে। চট্টগ্রামের বিপক্ষে এই ম্যাচে অবশ্য আক্রমণে আনা হয় তাকে চতুর্থ বোলার হিসেবে। যদিও পাওয়ার পেস্ন-তেই বোলিংয়ে আসেন তিনি, বল তখনো নতুন। নিজের ছাপ রাখতেও সময় নেননি। প্রথম ওভারেই ইরফান শুক্কুরকে ফিরিয়ে দলকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রম্ন।

দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান সানি নিজের পরের ওভারেই। এবার তার শিকার আরেক বাঁহাতি, আফিফ হোসেন। আউট হওয়ার ধরনেও আছে মিল। ইরফানের মতো আফিফও ক্যাচ দেন স্স্নগ সুইপ খেলে।

ওই ওভারেই তৃতীয় শিকারের দেখা পান তিনি চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোমকে বিদায় করে। তার বোলিং বিশ্লেষণ তখন ২-০-৯-৩। তিন ওভারের স্পেলের পরের ওভারে অবশ্য উইকেটের দেখা তিনি পাননি।

নিজের শেষ ওভারটি করতে আসেন পঞ্চদশ ওভারে। সেই ওভারে উসমানকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন তিনি চার উইকেট। এক প্রান্ত আগলে তখন চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু সানির বলে সুইপ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন তিনি ফ্লাইটে। এলবিডবিস্নউ হয়ে যান ২৯ বলে ৩০ রান করে।

এবারের বিপিএলে আগের ৭ ম্যাচে সানি উইকেট ছিল ৬টি। ওভারপ্রতি রান যদিও দিয়েছিলেন ছয়ের কম। শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিংয়ে মৌসুম শেষ করলেন ১০ উইকেট নিয়ে।

এই ম্যাচের চার উইকেটে বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে উইকেট শিকারের তালিকায় যৌথভাবে পাঁচে উঠে এসেছেন সানি। ৩৬ বছর বয়সি স্পিনারের মোট উইকেট ৭৯টি। সমান উইকেট পেসার শফিউল ইসলামেরও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে