সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শুভেচ্ছা দূত হয়েই বাংলাদেশে আসছেন মার্টিনেজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৮ জুন ২০২৩, ০০:০০

আগামী ৩ জুলাই অতি সংক্ষিপ্ত এক সফরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আসছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। সোমবার বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। বাংলাদেশকে ভালোবাসেন বিধায় এ সফর থেকে তেমন একটা অর্থ নিচ্ছেন না তিনি।

মার্টিনেজ লিখেছেন, 'আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমার ভারতীয় উপমহাদেশ সফর শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই, ২০২৩-এ। এই সফর শুরু হবে বাংলাদেশে, সেখানে ফান্ডেডনেক্সট ও নেক্সট ভেঞ্চার্সের দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা হবে। বাংলাদেশে দেখা-সাক্ষাৎ ও শুভকামনা বিনিময় শেষে কলকাতায় যাব। ভারতে আমার আড়াই দিনের সফর শুরু হবে। এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণ নিয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। এই সফর থেকে আমি অনেক কিছু শিখব ও অভিজ্ঞতা হবে।'

৪-৫ জুলাই কলকাতা সফর করবেন মার্টিনেজ। কলকাতার স্পোর্টস প্রমোটার কোম্পানি শতদ্রম্ন অ্যাসোসিয়েটস তাকে কলকাতায় আনছেন। এর আগের দিন বাংলাদেশ ঘুরে যাবেন মার্টিনেজ। তার বাংলাদেশ আগমনটাও ওই কোম্পানির মাধ্যমে। কলকাতার স্পোর্টস প্রমোটার কোম্পানির পরিকল্পনা ছিল ৩ জুলাই পুরো দিনই অথবা রাতটাও মার্টিনেজকে বাংলাদেশে রাখার। এজন্য শতদ্রম্ন দত্ত ঢাকায় এসে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেন। বেশি সময় মার্টিনেজ থাকলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। ডলারের অনুমতিও সময় সাপেক্ষ।

তাই অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করলেও ডলারসহ নানা জটিলতা সামনে আসে। এ কারণে মার্টিনেজ আসছেন অনেকটা শুভেচ্ছাদূত হয়েই। শতদ্রম্ন বলেন, মার্টিনেজ বাংলাদেশকে ভালোবাসেন। তাই এই সফর থেকে তিনি তেমন কোনো অর্থই নিচ্ছেন না। শুধু বিমান খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান বহন করছে। 

সফরটি বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়েছিল প্রায়। তবে শতদ্রম্ন শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন মার্টিনেজ বাংলাদেশে আসুক। তার ভাষায়, 'একজন বাঙালি হিসেবে আমার সব সময় চেষ্টা ছিল তাকে বাংলাদেশ ঘুরিয়ে আনার। মার্টিনেজ নিজেও চেয়েছে। অনেক সমস্যা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সে আসছে এটাই সুখবর। মার্টিনেজ আমস্টারডাম থেকে রওনা হয়ে ৩ জুলাই ভোর পাঁচটার পর ঢাকা নামবেন। তার সঙ্গে কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে যাবেন এমি। কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে এক-দুই ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠান হতে পারে। এরপর আবার বিকালের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।'

এত স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্টিনেজের সাক্ষাৎ করানোর চেষ্টা করছেন ভারতের এই ক্রীড়া উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ক্রীড়াপ্রেমী। সময় খুবই কম, এরপরও চেষ্টা করছি যেন সাক্ষাৎটা হয়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে